সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী এলাকায় র্যাব-৮ কাছে আত্মসমর্পণ করা ৩ দস্যুকে আস্ত্রসহ বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
শুক্রবার সকালে তাদেরকে আদালতের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সুন্দরবনের বনদস্যু বাহিনীর প্রধান ফরিদ তার অপর দুই সহযোগী জুয়েল ও আসাদ মংলার বৌদ্দমারী বাজার সংলগ্ন পূর্ব সুন্দরবনের মৃগামারী খাল এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে র্যার-৮ এর কাছে আত্মসমর্পন করে।
এ সময় তাদের কাছে থাকা ১টি থ্রি নট থ্রি, ১টি পয়েন্ট ২২ অটোমেটিক রাইফেল, ১টি সিঙ্গেল ব্যারেল বিদেশি বন্দুক, ২টি সিঙ্গেল ব্যারেল দেশি বন্দু এবং ৯৩৩ রাউন্ড পয়েন্ট ২২ বোর রাইফেলের গুলি, ২৭ রাউন্ড পয়েন্ট থ্রি নট থ্রি বিদেশি রাইফেলের গুলি ও ৩৪ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ র্যাবের কাছে জমা দেয়।
এরপর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব-৬ এর খুলনা কার্যালয়ে। সেখানে র্যাবের প্রেস ব্রিফিং শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে র্যাব ৮ এর ডিএডি এইচ এম বেল্লাল বাদী হয়ে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে মংলা থানায় তাদের হস্তান্তর করে।
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফোকে জানান, শুক্রবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দস্যুদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়ে ওই তিনি দস্যুকে।
এদিকে আত্মসর্মপন করা বাহিনী প্রধান ফরিদ লাহারী জানায়, সরকার তাদের সাধারণ ক্ষমা করে দিলে তার আরো কয়েক জন সহযোগী ও অন্য দস্যু বাহিনির সদস্যরা সাধারণ জীবনে ফিরে আসবে।