উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এ পরিণত হয়েছে।
এর প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পাশাপাশি মংলা বন্দরকেও ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে বাগেরহাটের শরণখোলা ও মংলা উপজেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষকে সতর্ক করে মাইকিং শুরু হয়েছে।
দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিদেশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জারুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থকবে উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে এসব জায়গার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া দপ্ততরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুর অথবা বিকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেনে’র জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদধগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।