২৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটের কচুয়ায় চরম অনিয়ম, ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান, সমর্থকদের উপর হামলা, ভোট কারচুপিসহ একাধিক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাহিদ (আনারস)।
শুক্রবার দুপুরে নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে আয়জিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে আসার পথে সরকার দলিয় প্রার্থীর সমার্থকদের বাধার কারনে অসংখ্য ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেনি। নির্বচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আনারস প্রতিকের নেতা-কর্মিদের শতাধিক বাড়িতে এবং অর্ধশতাধিক দোকানপাটে হামলা ও দুই শতাধিক কার্মিকে মারপিঠ করে আহত করে।
বিভিন্ন এলকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে আ’লীগ সমর্থিত চেয়াম্যান প্রার্থী এসএম মাহফুজুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী।
তিনি আরো বলেন, ভোটের দিন ১৬ টি কেন্দ্র থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সামনে তার আনারস প্রতিকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন ১৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও শতাধিক পোলিং অফিসার পরিবর্তন করে জেলার বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নির্বাচনকে কারচুপির নীল নকশা বাস্তবায়নের নির্বাচন অবিহীত করে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের সহকারী রির্টানিং অফিসার, সরকার দলিয় সমর্থক প্রিজাইডিং অফিসার, স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সাথে যৌথ সভা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো জানান, নির্বাচনের পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে আমি যে সকল অনিয়ম, ভোটকারচুপির অভিযোগ ও আশংকা করেছিলাম তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই নির্বাচনে।
এ সব কারণ উল্লেখ করে তিনি কারচুপির নীল নকশার নির্বাচন বাতিল করে কচুয়া উপজেলায় পূনঃ নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।