চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে বাগেরহাটের কচুয়া ও ফকিরহাট উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই উপজেলায় ৬১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কচুয়ায় ৫টি এবং ফকিরহাটে ৩টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কচুয়া উপজেলায় এবার মোট ভোটার মোট ভোটার ভোটার ৬৭ হাজার ৫৮৬জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৭৮৪জন ও মহিলা ৩৩ হাজার ৮০২জন। এই উপজেলায় ২৮টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ২১২টি। এর মধ্যে ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়া ফকিরহাট উপজেলায় মোট ভোটার ৯৪ হাজার ১২০জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৭ হাজার ২৪৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৪৬ হাজার ৮৭২জন। উপজেলার ৩৩ টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ২৩৭ টি। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
এই দুই উপজেলায় এবার মোট প্রার্থী ২৩ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন।
কচুয়া ও ফকিরহাট উপজেলার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কচুয়ায় চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এস.এম.মাহাফুজুর রহমান (দোয়াতকলম) এবং বিএনপি সমর্থিত সরদার জাহিদ (আনারস) এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ফকিরহাটে চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বড় দুই দলের সাবেক দু চেয়ারম্যান বিদ্রহী প্রার্থী হওয়ায় ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে ভোটারা বলছে।
এছাড়া এ দুই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত ও বিদ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে।
এদিকে, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের জন্য বাগেরহাটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু: শুকুর আলী ও পুলিশ সুপার মো: নিজামুল হক মোল্যা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে গ্রহন করা হয়েছে।