মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে বাধা দেয়ায় বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক স্কুলছাত্রী ও তার ভাইকে মারধরের করেছে স্থানীয় এক কিশোর।
বুধবার সকালে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কাঠিপাড়া গ্রামের একটি সেতুর ওপর এ ঘটনায় ঘটে। এসময় অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী (১৩) এবং তার বড়ভাই মারধরের শিকার হন।
ঘটনার পর মেয়েটিকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মেয়েটি উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের নবপল্লী জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাবা না থাকায় ওই গ্রামে তার খালা রাহিলা বেগমের কাছে থেকে পড়ালেখা করে সে।
মেয়েটি সাংবাদিকদের জানায়, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের হারেজ তার পথ আটকে মুঠোফোনে (মোবাইল ফোন সেটে) ছবি তুলতে যায়। তখন তাকে বাধা দিলে সে মেয়েটিকে মারধর করে। এসময় তার চিৎকারে বড় ভাই ছুটে এলে হারেজ তাকেও মারপিট করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানায় সে।
জানা গেছে, প্রতিবেশী হারেজ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে, এবিষয়ে জানতে হারেজ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো.ফরহাদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে হাত দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় জড়িত কাঠিপাড়া গ্রামের এলেম উদ্দিন শেখের ছেলে হারেজ শেখকে (১৬) ধরার চেষ্টা চলছে।
তবে ঘটনায় জড়িত ছেলের পরিবার স্থানীয় জন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।