এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা’র মধ্যে বাগেরহাটের চিতলমারীতে যাত্রার নামে সেখানে চলছে অশ্লীল নৃত্য।
পুতুল নাচের নামে চলছে ভ্যারাইটি শো। যাত্রার প্যান্ডেলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর। আর জুয়ার নাম পাল্টিয়ে রাখা হয়েছে বউ খেলা।
এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকার শিক্ষক, অভিবাবক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোদাড়া গেট এলাকায় ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত থেকে শুরু হয়েছে যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য। সেখানে নিউ মা অপেরার যাত্রা প্রদর্শনীর কথা থাকলেও সারা রাত চলে মেয়েদের শরীর প্রদর্শন। আর এই নাচকে ঘিরে মঞ্চের পাশে বসেছে মদসহ বিভিন্ন নেশার আসর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই মাঠেই যাত্রার আগে শুরু হয় মা পুতুল নাচ নামে একটি পুতুল নাচ। কিন্তু সেখানে কোন পুতুল নাচান হয় না। পুতুল নাচের নামে চলে ভ্যরাইটি শো। অপ্রাপ্ত ও কিশোরী মেয়েদের দিয়ে করানো হচ্ছে হয় বিভিন্ন অশ্লীল নৃত্য।
যাত্রা ও পুতুল নাচ প্যান্ডেলের সামনে গড়ে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর। জুয়ার নাম পাল্টিয়ে রাখা হয়েছে বউ খেলা। আর এই জুয়ার আসরে ভিড় করছে উঠতি বয়সের তরুনেরা।
এলাকার শিক্ষক ও অভিভাবক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে যারা যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর বসিয়েছে তারা অর্থলোভী কান্ডজ্ঞানহীন। প্রশাসনের উচিত এই যাত্রা মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়া।
এব্যাপারে চরবানিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল কৃষ্ণ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা এই ন্যাক্কারজনক যাত্রা ও জুয়ার আসর বসিয়েছে তাদের এসএসসি পরীক্ষার কথা ভাবা উচিত ছিল। তিনি এই নগ্ননৃত্য ও জুয়া বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
এবিষয়ে যাত্রার আয়োজক রজত শুভ্র রায় জানান, যাত্রা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন বলেছে অংক পরীক্ষার পর চালাতে, তাই যাত্রা চালানো হচ্ছে।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার জানান, জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে যাত্রা চলছে।
তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মাদ দিদারুল আলম জানান, যাত্রার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তিনি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।