বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী।
শনিবার বিকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা গ্রামে বিয়ে চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. আব্দুল হালিমের অভিযানে বন্ধ হয় বিয়ে।
এসময় স্কুলপড়ুয়া নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেবার অপরাধে কনে ও বরের বাবা এবং মসজিদের ইমামকে অর্থদণ্ড প্রদান করেন তিনি।
সূত্র জানায়, দুপুরে কামলা গ্রামের লিল্টু হাওলাদারের মেয়ের (১৪) সঙ্গে পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের জব্বার পাইকের কলেজে পড়ু ছেলে জামাল পাইকের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউএনও আব্দুল হালিম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি স্থানীয় কামলা বাজার জামে মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম ওই বিয়ে পড়াচ্ছেন। বিয়ে পড়ানো অবস্থায় ছেলের বাবা, মেয়ের বাবা এবং বিয়ে পড়ানো কাজীকে আটক করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসি।”
পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ অনুযায়ী বর ও কনের বাবার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে এবং মসজিদের ইমাম থেকে ৫ শত টাকা জরিমানা আদায়ের পর আড়াইশ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।