বাগেরহাটের ফকিরহাটে টাউন নওয়াপাড়া বাজার সম্প্রসারন এবং মাংসের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে খান সামিম হাসান পলাশ নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এবং আসামি ধরতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফকিরহাট থানার ওসি এস.এম আনোয়ার হোসেন।
বুধবার বিকালে বাগেরহাট-খুলনা সড়কের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহত খান সামিম হাসান পলাশ উপজেলার পিলজং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নওয়াপাড়া বাজার সম্প্রসারন এবং মাংসের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চেয়রম্যানের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে কুপিয়ে আহত করে।
এর পর চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সেখানে খুননা-বাগেরহাট সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে এবং দুটি মটর সাইকেলে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। এময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকান) ও বসত ঘরে হামলার ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় আহতহন ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আনোয়ার হোসেন।
আহত পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশ সন্ধায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ব্যস্ততম বাগেরহাট-খুলনা সড়কের পাশেই নওয়াপাড়া বাজার। সম্প্রতি এই বাজারে স্থানীয় কয়েকজন মাংস বিক্রেতা রাস্তার পাশে বসে মাংস বিক্রি করছিল। এই ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততম সড়কের পাশ থেকে সরিয়ে মাছ বাজারের কাছে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে ওই খানে মাংস বিক্রেতাদের ঘর নির্মান করা হচ্ছিল। বিকেলে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ৫-৬ জন লোক নিয়ে সেখানে এসে ঘর নির্মানের জায়গা তার বলে দাবী করে এবং বাধা দেয়।
বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দেলোয়ার তাঁর কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়। সেই কোপ আমার মাথায় না লেগে মূখে লেগেছে।
এবিষয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন সন্ধা সাড়ে ৬টায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ঘটনায় পর হামলাকারী দেলোয়ার (৫০) ও তাঁর শ্যালক আজিমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় উত্তেজিত জনতা তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় তাদের লাঠির আঘাতে আমিও রক্তাক্ত জখম হয়েছি।
তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সেখানে অতিরুক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।