বাগেরহাটের ফকিরহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত ৪ দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ঘটনায় বৃদ্ধা মহিলাসহ ৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সবশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টায় ফকিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কনক রানী বসু (৮০) নামে এক বৃদ্ধা।
জানা গেছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে কীটনাশক পান করলে তাকে ফকিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার লকপুরের ভট্টখামার এলাকার নারায়ন দাশের স্ত্রী অসিমা রানী দাশ (৪২) নামে তিন সন্তানের জননী বাড়ীর পাশের একটি বাগানে রয়না গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে সে কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
এছাড়া, গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামের আবু সাইদ (৩৫) নামে তিন সন্তানের জনক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে হাসপাতালে আনার পথে সে মারা যায়।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
এ পৃথক ৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনায় ফকিরহাট থানায় পৃথক ৩টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি ফকিরহাটের নলধা-মৌভোগ এলাকায় আরো ২টি আত্মহত্যার ঘটনাসহ উপজেলায় কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন ও মৃতদেহের প্রাথমিক সুরোতহাল রির্পোট করলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই অধিকাংশ আত্মহত্যা করা মৃতদেহের দাফন কার্য সম্পন্ন হয়।
এসব ঘটনায় তদন্ত এবং স্থানীয়দের মাঝে এ বিষয়ে স্বচেতনা তৈরির জন্য প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার অভিজ্ঞ জনেরা।