বর্ণাঢ্য আয়জনে বাগেরহাটে উদযাপিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস ২০১৪। এ উপলক্ষে সকালে শহরে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের আয়জনে শহরের স্বাধীনতা উদ্যান প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের কারা হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উদ্যান প্রাঙ্গনে আলোচনা সভার যোগদেয়।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুর হক খান, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন, সভাপতি বাবুল সরদার প্রমূখ।
বেসরকারি উদ্যোগে বাগেরহাটসহ সুন্দরবনসংলগ্ন জেলাগুলোয় ২০০২ সাল থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। আর গত বছর থেকে সুন্দরবন দিবসে অংশ নিচ্ছে বনবিভাগ।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়জন করা হয় সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায়।
‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’ এই প্রতিপাদ্যে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় র্যালি ও আলোচনা সভা।
সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে উপজেলার রায়েন্দা বাজারে র্যালি শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলচনা সভা।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রূপান্তরের স্থানীয় ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন মিরু।
সাংবাদিক মহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা, শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক প্রমূখ। অন্যদের বক্তব্য দেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রাকিব, এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মীর সরোয়ার হোসেন, হিতৈষী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মহম্মদ আবু জাফর, আহছানিয়া মিশনের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমূখ।
প্রসংঙ্গত, ২০০১ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)সহ দেশের অর্ধশতাধিক সংগঠন সুন্দরবনের সম্পদের সুরক্ষা, পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবিতে এবং সুন্দরবনের প্রতি দেশ-বিদেশের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে খুলনায় তিন দিনের জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন আয়োজন করে।
ওই সম্মেলন থেকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়। আয়োজকরা শুরু থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন দিনটিকে জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস হিসাবে পালনের জন্য।