বাগেরহাটের ফকিরহাটে সাজ্জাদ হোসেন নামে ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে রিংকু বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিখোঁজের এক দিন মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মূলঘর বিলে তল্লাসি চালিয়ে শিশু সাজ্জাদের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।
এঘটনায় আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সাজ্জাদকে পানিতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে কি কারনে তাঁকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন তা তিনি স্বীকার করেননি।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, একদিন আগে সাজ্জাদ হোসেন (০৫) নিখোঁজ হয়। এর পর গতরাতে (মঙ্গলবার) রিংকুকে নিয়ে গ্রামবাসী বাড়ির পাশের মূলঘর বিলে তল্লাসি চালিয়ে শিশু সাজ্জাদের লাশ উদ্ধার করে।
বুধবার সকালে পুলিশ শিশু সাজ্জাদের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত সাজ্জাদ জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের মূলঘর গ্রামের ভ্যানচালক শেখ মাসুদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের বাবা মাসুদের বরাত দিয়ে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আনোয়ার হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গত সোমবার বিকেল থেকে শিশু সাজ্জাদ নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পেয়ে বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান তিনি।
ওই দিন বিকালে শিশুটিকে প্রতিবেশি রিংকু বেগম সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে বলে এক নারী প্রতিবেশি তা দেখেছেন বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের জানালে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এদিকে ঘটনার পর থেকে রিংকু বেগম আত্মগোপণ করেন।
স্থানীয় লোকজন মঙ্গলবার তাঁকে পাশ্ববর্তি বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে থেকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশু সাজ্জাদকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। পরে তাঁকে নিয়ে গ্রামবাসী স্থানীয় মূলঘর বিলে তল্লাসি চালিয়ে শিশু সাজ্জাদের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।
ওসি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকুকে আটক করে। আটক রিংকু শিশু সাজ্জাদকে পানিতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও কি কারনে ফেলে দিয়েছেন তা স্বীকার করেননি। তাঁকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটককৃত রিংকু বেগম একই গ্রামের বাবর আলীর স্ত্রী বলে জানান তিনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার দুপর ২টা ২০মিনিট) এঘটনায় ফকিরহাট থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।