বাগেরহাট ৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাক্তার মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে।
রোববার দুপুর ১২ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) এ অভিযোগ জমা পড়ে।
কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান অভিযোগটি পরীক্ষার জন্য বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্তের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এমএইচ সালাহউদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেয়া তথ্য বিবরণীতে ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত এই ৫বছরে বাগেরহাটে অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করেছেন মোজাম্মেল হোসেন। যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
এছাড়া খুলনায় একটি অত্যাধুনিক মডেলের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার মূল্য ১০ কোটি টাকা। ঢাকার নিকুঞ্জে নির্মাণ করেছেন বহুতল ভবন। যার মূল্য ২০ কোটি টাকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ‘৯৬ সালের মেয়াদে সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মোজাম্মেল হোসেন তার স্ত্রীর নামে ১ কোটি টাকার সঞ্চয় হিসাব গোপন রেখে ২০১৩ সালের তথ্য বিবরণীতে পেশ করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তার দেয়া তথ্য বিবরণীতে অনেক সম্পদ হিসাব গোপন রেখে হলফনাফা দাখিল করেন।
এখন তার সম্পদের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে ১শ’ গুন।
এদিকে, বাগেরহাট ও খুলনার বাড়ি ২টি তার ছেলে ডাক্তার মাহমুদ হোসেনের নামে চালানোর চেষ্টা করেছেন বলে সূত্র জানায়।
কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে ৫ বছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ভবন তৈরি করা সম্ভব কিনা তা তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, পেশায় ডাক্তার থাকলেও তিনি বিগত ২০ বছরের এ পেশায় সংযুক্ত নন। এমনকি গত ৫ বছরে এমপি থাকাকালীন সময়ে সরকারী চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৫শ’ লোকের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
৩টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি থাকার বিধান না থাকলেও তিনি ক্ষমতার জোরে ১৫টি স্কুল-কলেজের সভাপতি থেকে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
সরকারী টেস্ট রিলিফ ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০ দিনের কাজ কর্মসূচির সব টাকা নামে-বেনামে আত্মসাৎ করেছেন মোজাম্মেল হোসেন।
এছাড়াও বাগেরহাটে বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে তিনি ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ভাগ নিয়েছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।