বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ড. আব্দুর রহিম খান ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোমবার বিকেলে এ কথা জানান তিনি।
আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম খান বলেন, ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নী। প্রভাব ও পেশী শক্তি খাটানো হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে গিয়েও ফিরে এসেছে। প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক ভোটারকে মারপিট করা হয়েছে। প্রশাসনের ভূমিকা ছিল অনেকটাই রহস্যজনক।
বহু কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব কারণে আমি কথিত এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।
ড. আব্দুর রহিম খান লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, “নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকেই আমার কর্মী সমর্থদেরকে মারপিট, হুমকী প্রদান, ভোট কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমি ও আমার পক্ষে যথাযথ নিয়মে লিখিত ভাবেই অভিযোগ দাখিল করেছিলাম।
কিন্তু সুনির্দিষ্ট ওই সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী কর্মকান্ডে জড়িত প্রশাসনের লোকজন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেনী। প্রশাসনের লোকজন অস্ত্রসহ অবৈধভাবে স্বদলবলে মহড়াদানকালে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরকে আটক করে, ৬রাউন্ড এলজি কার্তুজসহ অস্ত্র জব্দ করে ঘন্টা খানেকের মধ্যে তা আবার ছেড়ে দেয়।
রবিবার ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করলেই নৌকা প্রতীকের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী উপজেলা ছাত্র লীগ সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জিমির নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কৃষিব্যাংক রোড়স্থ আমার প্রধান নির্বাচনী অফিস, বাস ভবন ও নির্বাচনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
নৌকার বিজয়
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।