বাগেরহাটের একমাত্র নির্বাচনী এলাকা মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৪ আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
নির্বাচনোত্তর সহিংসতা গতকাল সন্ধা থেকে এখন পর্যন্ত এ দুই উপজেলায় অন্তত্য ৩৩ জন আহত হয়েছে।
আমাদের মোরেলগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট জানান, সোমবার সকালে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করে কমপক্ষে ১১ জনকে গুরুতর জখম এবং বেশ কিছু দোকান পাঠ বন্ধ করে দিয়েছে নৌকা প্রথীকের সমর্থকেরা।
আহতরা হলেন, ইউনিয়নের বড়পরি গ্রামের রহমত ঘরামী(২৮), নুরুল হক হাওলাদার (৫০), হারুন হাওলাদার (৪২), বাবুল হাওলাদার(৪৫), ফোরকান হাওলাদার (২৪), ফরহাদ (২৬), চিপা বারইখালী গ্রামের অহেদ শেখ (৫৮), বাবুয়ান গ্রামের শিপন হাওলাদার (৩২), খাউলিয়া গ্রামের হালিম শেখ (৩৫)সন্ন্যাসী বাজারের ফারুক হাওলাদার (৩০) ও চন্দনতলা গ্রামের মজিবর রহমান (৬৫)। তাদেরকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ কম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, যৌথ বাহিনীর টহল ও অভিযানও অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে রবিবার রাতে স্বতন্ত্র (বিদ্রহী) প্রার্থী ড.আব্দুর রহিম খান ও মেয়র মনিরুল হক তালুকদারের নির্বাচনী অফিস, গাড়ী ও বাসভবনে হামলার ঘটনায় আরো ১০জন আহত হয়।
শরণখোলা থেকে আমাদের করেসপন্ডেন্ট জানান, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনার পর রোববার রাত ও সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ও আনারসের সমর্থকদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারস প্রতিকের সমর্থকদের ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী এলাকায় আনারসের সমর্থক রিয়াদুল মুন্সীকে (২৮) কুপিয়ে জখম করে তার প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে একই এলাকার মধু হাওলাদারকে (২৬) পিটিয়ে আহত করা হলে তাকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া উপজেলার আরও কয়েকটি স্থানে আমলও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহতহন- রাজাপুরে রবীন কর্মকার (২৬), কলেজ ছাত্র নবীন (২২), চালিতা বুনিয়ার রিয়াদুল হাওলাদার (৩৫), বগীর রুহুল আমীন খান (৩২), পহলান বাড়ির শাহজাহান হাওলাদার (৪৫), নৌকার সমর্থক খোন্তাকাটার হাসান জমাদ্দারসহ (৩৫) উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী।
এছাড়া, গতকাল সোমবার সকালে নৌকার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরাজিত আনারসের সমর্থক যুবলীগ কর্মী সোহেল মীরের উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের শেরে বাংলা রোডের সোহেল টেলিকমে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সোহেল জানিয়েছেন।
উপজেলার পহলানবাড়ি এলাকায় আনারসের সমর্থক গফ্ফার হাওলাদারের মুদি দোকান ভাঙচুর করেছে নৌকার কর্মীরা।
এছাড়া, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ও আনারসের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ছালেক জানান, বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ সার্বক্ষনিক টহলে রয়েছে।
দুই বিদ্রোহী প্রার্থীদের অফিস ভাংচুর, আহত ১০
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।