সুন্দরবন সংলগ্ন মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৪ আসনে ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৮টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়। যার মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৭২ টি কেন্দ্রকে।
বাগেরহাট জেলা রিটানিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় ২০টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত বাগেরহাট-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬৬৮ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৪ জন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং অফিসার মু. শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, রোববার এ আসনে নির্বাচনের জন্য ১৩৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য ৬৭৮টি কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য সাধারণ কেন্দ্রের চেয়ে দ্বিগুন নিরাপত্তা রক্ষীসহ জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব, পুলিশি টহল, মোবাইল টিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনী স্টাইকিং ফোর্স হিসাবে থাকবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বাগেরহাট-৪ আসনে মোট ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭২ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ন ও ৪৬টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৬জন পুরুষ আনসার, ৪রজন মহিলা আনসার, একজন পিসি, একজন এপিসি ও ৩জন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার রুহুল আমিন মল্লিক বাগেরহাট ইনফোকেজানান, এরই মধ্যে কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রপ্ত সকল প্রিজাইডিং এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের তাদের নির্বাচনী সামগ্রী হস্থান্তর কারা হয়েছে। তাদেরকে নিরাপত্তা সহকারে নিজ নিজ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসংগত, জেলার বাকি ৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আ’লীগের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলেও বাগেরহাট-৪ আসনে আ’লীগ, সতন্ত্র (বিদ্রহী) এবং বিএনএফের প্রার্থী মিলে মোট প্রতিদন্দি চার জন। যাদের তিন জনই আবার আওয়ামী লীগ নেতা।
এরা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন (নৌকা)। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক এ্যাডভোকেট মনিরুল হক তালুকদার (ঘড়ি), পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খাঁন (আনারস) এবং বিএনএফের প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন (টেলিভিশন)।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।