তিন দিনের ব্যাবধানে বাংলাদেশর জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মৎস আহরণের অভিযোগে নৌবাহিনী কর্তিক আটক ৪৪ ভারতীয় জেলেকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠন হয়েছে।
বুধবার সন্ধা শোয়া ৭টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বপন কুমার সরকারের আদালতের মাধ্যমে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার বিকেলে মংলা বন্দর থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরে হিরণপয়েন্ট এলাকার ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে মাছ ধরার সময় তাদের আটক করা হয়। এর পর মঙ্গলবার সন্ধায় তাদের মংলায় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বাংলাদেশের জলসীমায় নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় নৌবাহিনীর জাহাজ গোমতি ভারতীয় পতাকাবাহী এফবি সুস্মিতা, এফবি রাজ নারায়ণ, এফবি মা বাসন্তী নামে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৪ জেলেকে আটক করে।
মঙ্গলবার সন্ধায় আটককৃতদের মংলা নৌঘাটিতে আনার পর মংলা থানায় হস্তান্ত করা হয়। আটক সব জেলে ভারতের চব্বিশ পরগনার কাকদ্ধীপ এলাকার বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের নামে নৌ বাহিনীর পিওআরএস (জি) এম এম জামাল বাদী হয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাছ শিকারের অভিযোগে মংলা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) একই অপরাধে নৌবাহিনী কর্তিক ২ টি মাছ ধরার ট্রলার সহ ২৯ জেলেকে আটকের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ, গত বছরের (২০১২ সালের) ৪ নভেম্বর দুটি ট্রলারসহ ২৬ ভারতীয় জেলে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার কালে নৌ বাহিনীর হাতে আটক হয়। তবে, মামলা শেষ হবার আগেই ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।
অন্যদিকে ২০১০ সালের ৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকার কালে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুটি ট্রলারসহ ২১ বাংলাদেশী জেলেকে আটক করে সে দেশের কোস্টগাড।
পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত তাদেরকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫১ হাজার ৫০০ ভারতীয় রূপী জরিমানা করে। এদের মধে ২ বাংলাদেশী জেলে মারা যায় সে দেশের আলীপুর কারাগারে। আর সাজা শেষে রোববার (২৩ ডিসেম্বর ) রাতে যশোরের বেনাপোল সিমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন বাকি ১৯ বাংলাদেশী জেলে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।