বাংলাদেশর জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মৎস আহরণের অভিযোগে আটক ২৯ ভারতীয় জেলেকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ২টায় আটক জেলেদের মংলা থেকে বাগেরহাটের আদালতে প্রেরণ করা হয়। সন্ধায় রামপাল-মংলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহামুব তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করা হচ্ছে বলে বাগেরহাট ইনফোকে নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, ছোটন দাস (১৮), মিথুন জয় দাস (২৪), গঙ্গা ধর দাস (৪২), হাকিম আলী ওরফে বাবুল (৫০), সেন্টু মন্ডল (৩৬), নিরঞ্চন দাস (২০), সেন্টু দাস (২০), প্রকাশ দাস (২৫), মনরঞ্জন দাস (৩৫), রোপন দাস (৩৩), লাল মোহন দাস (৪০), ধ্রুব দাস (১৮), দপন দস (৩০), জতিস দাস (৪০), লিটন দাস (২৩), ধনা দাস (৩৩), ববোধ বিশ্বাস (৩০), চিত্তরঞ্জন দাস (৩২), অভি দাস (২৩), অনিল দাস (২৮), আকাশ দাস (২৫), জগিমালী দাস (৪৭), রুপন দাস (২৫), মরণ দাসন (২৭), অজিত দাস (৪০), দুলাল দাস (৪২), মোহল কৃষ্ণ (২৫), অভি রঞ্জন দাস (৩৫) ও বনমালী দাস (৪৪)। তাদের সবার বাড়ি ভারতের দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলনিউজকে জানান, মংলা থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নৌ বাহিনীর জাহাজ গোমতি ভারতীয় পতাকাবাহী এফ.বি মায়ের আর্শীবাদ ও হিমালয় নামক ২টি দুটি ফিশিং ট্রলার সহ ২৯ ভারতীয় জেলেকে আটক করে। শুক্রবার রাত পৌঁনে ১১ টায় মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে নৌ বাহিনীর পিও এম জাকির হোসেন বাদি হয়ে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে আটককৃত জেলোরা দাবি করেছে, ঘনকুয়াশার কারণে তারা সীমা বুঝতে না পারায় বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করেছিল তারা।
প্রসংঙ্গত, গত বছরের (২০১২ সালের) ৪ নভেম্বর দুটি ট্রলারসহ ২৬ ভারতীয় জেলে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার কালে নৌ বাহিনীর হাতে আটক হয়। তবে, মামলা শেষ হবার আগেই ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।