নচিকেতার কন্ঠে গানের ভাষায় শুনতে বেশ ভালোই লাগে ‘গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে’। বেশ পুরানো ও পরিচিত এ প্রবাদের অর্থ খুব একটা খুজতে হয় না।
যুতসই ব্যবহার যদি চোখে পড়ে তখনই তিনি মনে মনে বলে উঠবেন ‘গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে’। যেমনটি দেখা গেল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যকার ২৫কি.মি রাস্থায়।
খানাখন্দে পূর্ণ সড়কটিতে পায়ে হাটা ছাড়া, যে কোন ধরণের যানবাহনের জন্য এটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ন। তবে দেখার কেউ আছে বলে মনে হয় না। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে যারা বাস, মিনিবাস, দুরপাল্লার পরিবহন ও মালবাহী ট্রাক কিনেছেন সমস্ত দায়ই যেন এখন তাদের।
তাই তো অবশেষে বাধ্য হয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা শুক্রবার থেকে নিজেদের উদ্যোগে সড়কের গভীর খাঁদগুলো ভরাটের কাজ শুরু করেছেন। ন্যুনতম ব্যবসার পাশাপাশি জনভোগান্তি হ্রাসের বিষয়টিও অনুধাবন করেছেন তারা। তবে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে রাস্তার পিচ-খোয়া তুলে।
কেন এমনটি তা জানতে চাইলে কর্মরত শ্রমিক আমজাদ হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, “কেন ভাই জানি না, গঙ্গার জল দিয়েইতো গঙ্গার পুজো হয়”।
এতো কিছুর পরও মোরেলগঞ্জ শরণখোলা সড়কের এ চরম দুর্দশা লাঘবে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও সড়ক বিভাগের দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের নেক নজর কামনা করছে দুটি উপজেলার ভূক্তভোগী ৫ লাখ মানুষ।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।