হরতাল-অবরোধে সাধারণ যানবাহন বন্ধ থাকায় অবৈধ নসিমুন-করিমুন-ভটভটি এখন একমাত্র ভরসা বাগেরহাটের উপর দিয়ে চলাচল কারী খুলনা-মংলা, গোপালগঞ্জ সহ ১৮টি রুটে যাত্রীদের।
সহিংসতার ভয়ে মহাসড়ক গুলোতে চলমান পরিস্থিতিতে দুরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি বন্ধ থাকছে অভ্যান্তরিন বাস-মিনিবাসও। ফলে অতি প্রয়োজনে মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় রেখে এসব অবৈধ যানে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারন মানুষ।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলা ছাড়ও অনান্য জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য মহাসড়কে এখন অবাধে চলছে এসব যান। নিম্নমানের বডিফিটনেস, ব্রেক ও অদক্ষ চালক হওয়ার পরও যন্ত্র দানব নামে খ্যাত এ বাহনে বাধ্য হয়ে প্রতিদিন চড়ছে নারী শিশু সহ হাজার হাজার মানুষ।
নসিমুনে করে নিত্য প্রয়জনীয় পন্য আনায়নের জন্য ঝুকি নিয়ে বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা শহরে দিনে ও রাতে ছুটছে শত শত ব্যবসায়িরা। অন্যদিকে ফকিরহাট উপজেলায় বৃহৎ বাগেরহাট, রূপসা ও শম্পা সিঃ ফুর্ড লিঃ অবস্থিত হওয়ায় এবং ফলতিতা বটতলায় বৃহৎ মৎস্য আড়ত থাকায় দক্ষিন অঞ্চলের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল থেকে চিংড়ি ও সাদা মাছ পরিবহনের জন্য বাহক হিসাবে উপেক্ষিত এ যানবাহন গুলোকেই ভরসা মনে করছেন সাধারণ জনগন।
সড়ক মহা-সড়কের পাশাপাশি স্থানীয় ছোট রাস্থায় অনায়াসে প্রবেশ করতে পারায় এবং হরতালে এ যানবাহন গুলোর উপর তেমন কোন বাধা না থাকায় সহায় সাধারণ মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য পরিবাহক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এখন এ বাহন গুলো।
প্রসংগত, খুলনা-মোংলা, বাগেরহাট সহ ১৮টি রুটে নসিমুন, করিমুন, ভটভটি, ইজিবাইক ও চাঁন্দের গাড়ী চলাচল গত বছরের (২০১২সালের) ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৩৬ তম বৈঠকে ফিডার রোডের (স্থানীয় ছোট রাস্থায়) বাইরে চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। খুলনা রেঞ্জ ডি আই জির কায্যালয় হতে ৮ ফেব্রুয়ারী ৯৯৭/১০ নং স্বরকে এবিষয়ে সকল জেলা ও উপজেলায় একটি চিঠি প্রেরন করা হয়।
যার ফলে এসকল যানবাহন এতো দিন প্রশাসনের চোক ফাঁকি ও ম্যানেজ করে মহাসড়কে চলাচল করত। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশিলতার করনে অহরহ হরতালে সরকারী কর্মচারিসহ সাধারন মানুষের কাছে গন্তব্যে পৌঁছতে এ যানবাহন গুলোর কদর অনেকাংশে বেড়েছে।
যন্ত্রদানব নামে খ্যাত এ যানবাহনের চালকদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, পুলিশি বাধা না থাকায় এবং মহা-সড়কের সাথে সংযুক্ত ফিডা ররোডের মাধ্যমে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় সহজে যাত্রী সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করতে পারছে তারা।
অসহায় যাত্রীরা জানান, দূর্ঘটনা সম্ভাবনা অনেকাংশে বেশি যেনেও তুলনা মুলক কম ভাড়া এবং আঞ্চলিক ও দুরপাল্লার পরিবহন না থাকায় কষ্ট হলেও এক প্রকার বাধ্য হয়ে এ বাহন গুলোতে চলতে হচ্ছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।