গত মঙ্গলবার ২৯ জানুয়ারি বাগেরহাট সদরের ৫নং বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৭নং কার্তিকদিয়া ওয়ার্ডের নিবাসি মোঃ ইসলাম শেখ এর বাড়িতে এক মর্মাহত হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঐ দিন বিকাল ৩টার সময়। জানা যায় ইসলাম শেখের মেয়ে আসমা বেগম দুপুরের গোসলের পর কাপড় শোকাতে গেলে ঐ গ্রামের নিবাসি টুলে বেগমের সাথে তার ঝগড়া হয়। এই বিষয় নিয়ে ঐদিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আলামিন মির্জা, লাকি বেগম, টুলে বেগম ও রেকছোনা বেগম সহ ২-৩ জন দা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে ইসলাম শেখের বাড়ি গিয়ে তার মেয়ে আসমা বেগমের উপর প্রচন্ড মারধোর শুরু করে।
তার চিৎকার শুনে ইসলাম শেখের ভাবী অর্থাৎ আসমা বেগমের কাকি আয়শা বেগম(৯মাসের গর্ভবতী) ছুটে আসলে তাকেও বেদম মারধোর শুরু করে হামলাকারীরা। এতে করে তার ও তার পেটের বাচ্চার খুব ক্ষতি হয়। তারপর আলমিন মির্জা আসমা বেগমের সম্মানহানি ঘটায় বলে আভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে টুলে বেগম আসমা বেগমের গায়ে স্বর্ণ অলংকার জোর করে ছিনিয়ে নেয়। এরপর আশেপাশের লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে আসামীগণ তাদের খুনের হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার সময় ইসলাম শেখকে বাড়ি ঢুকতে দেখে তাকেও প্রচন্ড মারধোর করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ৩০,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। পরে পাড়া প্রতিবেশিদের সহায়তায় অসুস্থদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্মরত ডাক্তারদরা জানা যায় যে, আয়শা বেগম ও তার গর্ভের বাচ্চার অবস্থা খুব খারাপ।
এ ব্যাপারে গতকাল সন্ধায় আসমা বেগমের বাবা ইসলাম শেখ বাগেরহাট সদর মড়েল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।