বাবা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তাই মাদ্রাসায় না গিয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় সারা মাসের স্বাক্ষর একবারে করে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন। তবে ১ নভেম্বর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর পাওয়া যায় নি।
ঘটনাটি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খারুই খালি আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার।
আবুল খায়ের নামের এক অবিভাবক সহ কয়েক জানান, এই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আবুল হাসান কাজী চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদ্রাসায় অুনপস্থিত। কিন্তু তিনি প্রতি মাসে বেতন তুলছেন।
অবিভাবকরা আরো জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে সহকারী মৌলভী আবুল হাসান অক্টোবরে মাদ্রাসায় এসে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত স্বাক্ষর করে যান। তার বাবা মাওলানা আব্দুল খালেক এই মাদ্রাসার সভাপতি হওয়ায় তিনি এ কাজ গুলো করতে পারছেন।
খোঁজ নিয়ে, এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
৭ ডিসেম্বর সরজমিন ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবুল হাসানের হাজিরার ঘরটি ফাঁকা রয়েছে। শুধু আবুল হাসান নয়; এফতেদায়ি প্রধান খলিলুর রহমান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুপস্থিত। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির শ্যালক মাদ্রাসার দফতরী ওহিদুর শিকদার ২৩ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুপস্থিতি।
আবুল হাসান বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তিনি অসুস্থ্যতার কারণে ছুটিতে আছেন। তবে, মাদ্রাসায় না গিয়ে স্বাক্ষর করার বিষয়টি অস্বীকার তিনি করে বলেন, এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সাথে যোগাযোগ করেন।
তবে তার পিতা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
এরপর সভাপতিসহ অন্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে বার বার করার চেষ্টা করলেও আর কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি।
দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিশিষ্ট এই মাদ্রাসার অবিভাবকরা ও শিক্ষকরা সভাপতির স্বজন প্রীতির হাত থেকে মাদ্রাসাকে রক্ষার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।