আধঘণ্টার ব্যবধানে শুক্রবার রাতে বাগেরহাট শহরের পৃথক দুইটি স্থানে ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন দুই ব্যক্তি।
আহতরা হলেন- বাগেরহাট শহরের দাসপাড়া এলাকার গৌরিচন্দ্র দত্তের ছেলে উত্তম কুমার দত্ত (৩৩) এবং শহরের মুনিগঞ্জ এলাকার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে খান আব্দুর রাজ্জাক (৪০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের দু’জনের মাথা, মুখ, ঘাড়, পিঠ, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য গুরুতর জখম রয়েছে। হামলাকারীদের সনাক্ত করতে না পারলেও আহত দু’জনেই জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ছিলো চার-পাঁচ জন।
পুলিশ খুলনা-বাগেরহাট সড়কের পাশে পড়ে থাকা ঐ দুই জনকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে শনিবার সন্ধা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত পুলিশ ছিনতাইকারীদের সনাক্ত বা গ্রেফতার করতে পারেনি। থানায় কোন মামলা হয় নি।
এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি এবং কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি উপজেলার বারাকপুরের বেসরকারি বিনোদন পার্ক ‘সুন্দরবন রিসোর্ট’ এর গ্যারেজ রক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বাগেরহাট ইনফোকে জানান, কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নতুন পুলিশ লাইন এলাকায় চার-পাঁচ যুবক তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় চার হাজার টাকা নিয়ে যায়।
পরে পুলিশ অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অপর আহত স্বর্ণপট্টির সোনার দোকানের কর্মচারী উত্তম কুমার দত্ত বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ওই এলাকায় একটি বাড়িতে বিয়ের গহনা পৌঁছে দিয়ে পঁচিশ হাজার টাকা নিয়ে বাইসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
পথে মেগনিতলা ও খানকা শরীফের মাঝামাঝি এলাকায় চার-পাঁচ যুবক তার গতিরোধ করে। এসময় তারা এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে ২৫ হাজার টাকা, সাইকেল, মোবাইল ফোন ও হাতের একটি সোনার আংটি নিয়ে যায়।
রাত ১টার দিকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের পাশ থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলি বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের বেশ কিছু গুরুতর আঘাত রয়েছে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তারা রাস্তার পাশে অচেতন পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাদের উপর হামলা করেছে।
তবে এই ঘটনায় এখনও থানায় কেউ অভিযোগ করেন নি।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।