“পাম্পে তেল, নাই গাড়ি ঘরে উঠায়ে রাখেন। কাজ-কাম তো নেই। তেল দিয়ে অরবেন কি?”
তেলের জন্য পাম্পে গিয়ে এমন বিব্রত উত্তরে বেশ হত্যাশ ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক সোহাগ হোসেন।
সোহাগ হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, সন্ধায় গড়িতে তেল কম দেখে যান কাছের বরকত আলী ফিলিং স্টেশনে। আর সেখানে গিয়ে শোনেন তেল শেষ।
বিএনপিসহ বিরধী দল গুলোর ডাকা দেশ ব্যাপি টানা ১৩১ ঘন্টার অবরোধের ৫ম দিনে এমন তেল শুন্য অবস্থা বাগেরহাটের প্রায় সব ফিলিং স্টেশন গুলোর। তেল নেই কোন টাতেই। তাই ঘুরছেনা চাকা। ফলে চরম বিপাকে জন সাধারন।
অবরোধের কারনে লোকাল বাস বা দূরপাল্লার পরিবহন কোনটিই না চলায় সাধারন মানুষের ভরসা থাকে মটর সাইকেল, স্যালোম্যাশিন চালিত টেম্পু, নছিমন-করিমনসহ পেট্রল-ডিজেল চালিত যান গুলোতে।
পাম্পে তেল না থাকায় এখন মাথায় হাত মটর সাইকেল, স্যালোম্যাশিন চালিত টেম্পু, নছিমন-করিমন ওয়ালাদের।
হতিদরিদ্র নছিমন চালক মুকুল শেখ বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, সমিতির তে কিস্তি উডাইয়ে নছিমন ডা কিনছি। চালাইয়া কিস্তি দেই, আর পোলা পান নিয়া খাইয়া পইড়া বাইচা আছি। এহন (এখন) শুনতিছি তেল নেই। তালি গাড়ি চালাবো কি অইরে?”
‘খাব কি? কিস্তি টানবো কি বেলে ?’
বাগেরহাটের খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশনের তেল কর্মচারী মোঃ আছাদ মোল্লা বলেন, গত বৃহস্পতিবার শেষ পাম্পে তেল আসছে। অবরোধের কারনে টানা ৬ দিন ধরে কোন তেল আসেনি। শেষ হয়েছে পাম্পে সব ধরনের তেলের রিজার্ভ।
আছাদ আরও জানান, সন্ধা থেকে তেল না থাকায় আমাদের এখানে প্রায় শতাধিক ছোট গাড়িসহ বহু মটর সাইকেল এসে ফিরে গেছে।
জেলার কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ডে অবস্থিত শেখ ওসমান আলী ফিলিং স্টেশনের মালিক বদিউজ্জামান খোকন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, অবরোধের কারনে টানা ৬ দিন ধরে তেল প্রকার তেল আসতে পাছেনা পাম্পে। ফলে ফুরিয়ে গেছে তাদের তেলের রিজার্ভ।
এমনিতে টানা অবরোধে মারাত্মক ভাবে ব্যবসায় ক্ষতি চলছে। তার উপর যেটুকু চলছিল এখন তেল না থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হবে। কর্মচারিদের বেতনও পরিশোধ করে পারব কিনা জানি না।
এদিকে, পাম্পে তেল না থাকার জন-সাধারণের ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন এসব খাতের উদ্যোগতা সহ সকলে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।