বিরধী জোটের ডাকা ফের অবরোধে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার পরিবহন যাত্রীরা। সেই সাথে সংকায় পরিবহন মালিকারাও।
দেশ ব্যাপি ৭২ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচির কারণে শনিবার নতুন করে কোনা দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে না গেলেও গত রাতে বাগেরহাট থেকে যাত্রা করা দূর গন্তব্যের পরিবহন যাত্রী ছাড়াও মালিক শ্রমিকরা ছিলেন চরম উদ্বিগ্ন।
বাগেরহাট জেলা বাস ষ্টান্ডের পরিবহন কাউন্টার ম্যনেজার দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত রাতে (শুক্রবার) ছেড়ে যাওয়া অধিক অংশ পরিবহনই ভোর হবার আগে গন্তব্যে পৌঁছেছে। তবে চট্টগ্রামগামী কিছু পবিরহন পড়ে অবরোধের মুখে।
তবে, সকালের মধ্যেও সে সব পবিবহনও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে বলে জানা তারা।
পিরোজপুর বাগেরহাট হয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বলেশ্বর পরিবরহনের বাগেরহাট কাউন্টার ম্যনেজার রিয়াদ মাহামুদ বাগেরহাট ইনফোকে জানান, গত রাতে ঢাকাগামী তাদের সব পবিরহন অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগেরই গন্তব্যে পৌঁছালেও বিপাকে পড়ে চট্টগ্রামগামী দু’টি গাড়ি।
তবে সকাল পৌনে ৮টার মধ্যে ওই গাড়ি দুটিও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
তিনি জানান, বাগেরহাট থেকে মাওয়ার পথে ঢাকাগামী গাড়ি গুলো পৌঁছাতে তেমন কোন সমস্যা হয় না। শুধু মাত্র বাগেরহাটের মেঘনি তলা থেকে খানকা শরীফ এলাকায় কিছুটা সমস্যা হয়। আর বড় সমস্যায় পড়ে চট্টগ্রামগামী পরিবহন গুলো। ঢাকা পার হওয়ার পর কুমিল্লার চেীদ্দগ্রাম, ফেনী ও সিতাকুন্ডে অধিক অংশ সময় হরতাল ও অবরোধ কারিদের হামলার মুখে পড়তে হয়।
বাগেরহাট পবিরহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাকী তালুকদার বাগেরহাট ইনফোকে জানান, ঢাকা থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা দু’টি পরিবহন অবরোধের কারণে সকালে ষাটগুম্বজ মসজিদ এলাকায় আটকা পড়লেও পরে পুলিশ প্রহরায় পরিবহন দুটি বাগেরহাট পৌঁছায়।
বাগেরহাট থেকে আরিচা হয়ে ঢাকা রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের বাগেরহাট কাউন্টার ম্যনেজার বাগেরহাট ইনফোকে জানান, রাতে চলাচলকারী তাদের তাদের দুটি গাড়িই নিরাপদে পৌঁছেছে। তবে রাত ১০টায় ছেড়ে যাওয়া গাড়ি ও যাত্রীদের নিয়ে চরম আতংঙ্কে থাকার কথা জানান তিনি।
এদিকে অবরোধে এসব রুটে চলাচলকারী সাধারন যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকই শুক্র ও শনিবারের ছুটিতে জরুরি কাজে বাড়ি এসে আটকা পড়েছেন হয়েছে অবরুদ্ধ।
এমনি এক জন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত জিএম রাশেদ। বাগেরহাট বাস ষ্টান্ডে দাড়িয়ে বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, তার ১৪ দিনের মেয়েকে দেখতে চাকুরির ফাঁকে দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটিতে বাগেরহাট এসে ছিলেন তিনি। কিন্তু অবরোধের কারণে এখন ফিরতি টিকিট পবিরর্তনের বাধ্য হচ্ছি।
তিনি জানান, জানিনা কবে ফিরতে পারব। কিছু দিন আগে একবার ছুটি গ্রহন করার পরে এখন আর অফিসে হাজির হতে না পেরে চরম বিপকে পড়তে হবে।
এসময় তিনি ক্ষুব্ধ কন্ঠে রাজনীতিবিদদের দয়া করে দেশের স্বার্থে মানুষের কথা ভেবে জনগনকে একটু শান্তি থাকতে দিতে আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে অবরোধের কারণে সকাল থেকে রিকশা-ভান ও ইজিবাইক চলাচল করলেও অভ্যন্তরীন বা দুরপাল্লার রুটে সকল যান চলাচল ছিল বন্ধ। ফলে জরুরি প্রয়োজন বিশেষ করে অসুস্থ এবং শিক্ষার্থীরা পড়েন মারাত্মাক দূর্ভোগে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।