ধর্ষণের পর অন্ত:সত্ত্বা হয়ে চাপের মুখে অবৈধ গর্ভপাত করাতে গিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলার হতদরিদ্র পরিবারের স্কুলছাত্রী গর্ভপাত ঘটানোর দেড় মাস পরও রক্ত ক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায়, ওই কিশোরীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। যে কোন মূহূর্ত্তে তার জীবণাবসান হতে পারে।
শনিবার সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মিজানুর রহমানের অনুরোধে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তত্ত্বাবধানে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে দেখতে বাগেরহাট হাসপাতালে আসেন ডা. মিজানুর রহমান। তাকে দেখার পর তিনি বলেন , “মেয়েটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর ও এই জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ী মুল হোতাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।”
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন তালুকদার কে আসামি করে গত ১৯ জানুয়ারি শরণখোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত রাশেদ তালুকদারের ছেলে দেলোয়ার।
তবে এখনও অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।