এফএমডি ও পিপিআর ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে বাগেরহাটের শরণখোলায় ব্যাপক হারে গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সহস্রাধিক গরু, ছাগল ও ভেড়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ভাইরাসের ফলে এলাকায় গবাদি পশু মৃত্যু মহামারী আকার ধারণ করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে।
সরেমজিন বেশ ক’য়েকটি গ্রামে গিয়ে ক্ষত্রিগস্তদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পশুর খাওয়া-দাওয়া কন্ধ হয়ে যায়। পাতলা পায়খা হয়। নাখ-মুখ দিয়ে সর্দি ও লালা ঝরতে থাকে এবং গরা ফুলে ওঠে।
এর দু-এক দিনের মধ্যেই পশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এমনকি গর্ভবতী পশুর পেট থেকে বাচ্চা পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন অনেকই। গত একমাসে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে এ ভাইরাসে এক হাজারেরও বেশি গরু, ছাগল ও ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে।
রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের রকিম মোল্লা বলেন, গত এক মাসের মধ্যে ভাইরাসে তার ৬টি গরু মারা গেছে। পশ্চিম খাদা গ্রামের শাহজাহান আকনেরও ৩টি গরু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামের হেমায়েত হাওলাদারের ২টি গরু, ইউসুফ হাওলাদারের ১টি গরু, রুহুল হাওলাদারের ১টি গরু, জাকির হাওলাদারের ১টি গরুসহ তাদের গ্রামের বিভিন্ন লোকের আরো ১০-১৫ টি গরু ও ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোজ নিয়ে জান গেছে, উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের রুহুল আমীন মুন্সীর ১টি, আছাদ হাওলাদারের ১টি, হাসান মুরাদ বাবুর ২টি ছাগল, ছালাম হাওলাদারের ৩টি ছাগল, আলামীনের ২টি ছাগল, সোহাগ গাজীর একটি গরু এবং মঠেরপাড় গ্রামের বাদল হাওলাদারের ২টি গরু মারা গেছে গত কয়েক দিনে।
একই অবস্থা উপজেলার অনান্য এলাকা গুলোতেও। প্রতি দিনই এসব এলাকায় মারা যাচ্ছে প্রচুর সংখক গবাদি পশু।
ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন, প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে অনেক সময় ডাক্তার পাওয়া যায়না। তারা এলাকায় গিয়ে কাউকে পরামর্শও দেননা।
একেকটি ভ্যাকসিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় অফিস থেকে কিনতে হয়। অনেক সময় না পেয়েও ফিরে আসতে হয় তাদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বখতিয়ার হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে গবাদি পশু ভাইরাস আক্রান্তের খবর শোনা যাচ্ছে। এফএমডি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু আর পিপিআর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছাগল ও ভেড়া আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে, ভ্যাকসিনের অতিরুক্ত মূল্যের কথা অস্বিকার করে তিনি বলেন, এফএমডি ভাইরাসের টিকার সরকারি মূল্য ১৯০ টাকা এবং পিপিআর ভাইরাসের টিকা ৫০ টাকা। এর বাড়তি কারো কাছ থেকেই রাখা হচ্ছেনা।
জনবল সংকটের কারনে সব এলাকায় সব সময় যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে এসময় জানান তিনি।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।