বুধবার বাগেরহাট আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহের পাশাপাশি জনসভা সফল করতে তৃনমূল পর্যায়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
প্রশাসন আর দলীয় প্রস্তুতির বাইরে সাধারণ মানুষের কি প্রস্তুতি তার বাগেরহাট আগমনকে ঘিরে? বা কি প্রত্যাশা তার কাছে?
জানতে চেয়েছিলাম রিক্সা চালক আব্দুল মালেকের কাছে। ৭০ বছর বয়সি আব্দুল মালেক বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, ৩০ বছর ধরে রিসকা চালাই। দিন আনি দিন খাই। এতো কিছু বুঝিনা। আমাগো কতা (কথা) কেউ কয় না। তারা আসলিও আমাগো কিছু হয়না না, আর না আসলিও না।
আমাগে খাওনের(খাবার) দামদা (মূল্য) এট্টু (একটু) কুমলিই (কমলে) হয়।
রিক্সা চালক মালেকের মতোই কাছা কাছি ভাবনা চা বিক্রেতা সবুরা’র। তিনি বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, আমরা ভাই হতসব রাজনীতি বুঝিনা। দোয়ানে (দোকানে) বইসা (বসে) হগলের (সকলেন) কথাই শুনি। কিন্তু ভাই পাবলিকই তো মরে, নেতারা তো মরেনা।
আমরা শান্তি চাই। কোম (কম) টায়ায় (টাকায়) জিনিস পত্রোর ওইলি (হলে) অবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সমাবেশ স্থালের চার পাশে এখন উৎসবের আমেজ। কথা হয়েছিল সাধারন কয়েক জনের সাথে। যারা দিন আনেন দিন খান। তারা জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজ চোখে দেখতে এবং তার বক্তব্য শুনতে খানজান আলী কলেজ মাঠে যাবেন।
তবে, এই মানুষ গুলোর মত নয় অনেকেই। হয়তো জীবনের যুদ্ধটাও তাদের মতন নয় তাই। কারন তাদের মতন দিন এনে দিন চালানর অবস্থা নয় এদের। সমাজের হিসাবে হতো শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী মানুষ এরা। তাই তো হিসাবে আর একটু পাকা তারা।
রাজনৈতিক সংঘাত বা হরতালের মত সহিংস কর্মসূচির স্বিকার এরাও। তবু মালেক ও সবুরার মত আকুতি আর রাজনৈতিক হানাহানী দুর হবার প্রত্যাশার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়নের মত হিসাব কষেন তারা।
একটি এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোরশেদুল হক বাগেরহাট ইনফোকে জানান, দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা দূর হোক এটিই প্রধান প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের বাগেরহাটের ফয়লায় (খানজাহান আলী) বিমান বন্দর নির্মান, বাগেরহাট-রুপসা রেল যোগাযোগ পূনরায় চালু, শরনখোলায় সুন্দরবন উপকুলে পর্যটন কেন্দ্র নির্মান, বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নিতের মত প্রত্যাশ এখনও প্রত্যাশাই রয়ে গেছে। এসবের বাস্তবায়ন চাই।
কলেজ শিক্ষিকা শাহিদা আক্তার বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না সরকার এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন এর কাছ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘোষনা প্রত্যাশ করি।
’বাগোহাট আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’
বাগেরহাট বাসির কি প্রত্যাশ তাঁর কাছে – এমন প্রশ্ন রেখেছিলাম ফেসবুক বন্ধদের কাছে।
উত্তরও পেয়েছি আমর বাগেরহাটের কিছু ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে। তাদের বেশির ভাগই উত্তর ছিল বাগেরহাটে এসে রামপাল স্থগিত অথবা বাতিলের ঘোষনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এমন মন্তব্যের পালটা জবাবও ছিলো কারো কারো।
রাফা দিপ্ত লিখেছিলেন নাইক্কা। কারন হিসাবে তিনি লিখেছেন ওইসব লোকদের কাছে দাবি জানায়ে কি হবে? অধিকার আদায় করতে হবে। তার এই মন্তব্যের পর পর তাতে সহমতও জানিয়েছেন বেশ কয়েক জন বন্ধু।
সবমিলে সাধানরন জনগনের প্রত্যাশা এলাকা, অনঞ্চল এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি। শুধু সরকার-বিরধীদল বদল বা নেতা নেত্রীর আগমন আর জনসভা সভা নয়, সত্যি কার দেশকে এগিয়ে নেওয়া।
১২ নভেম্বর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।