বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার শামিম আহসানর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে সোমবার বাগেরহাট পৌর এলাকায় অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান।
রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার শামিম আহসানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর চত্ত্বরে এক সমাবেশে এ হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ওসির অপসারণে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তা না হলে পৌরসভার পানি সরবরাহ, সড়ক বাতি, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার বন্ধসহ পৌরসভার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুমকি দেন পৌর মেয়র।
এদিকে, শামীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুবলীগের উদ্যোগে বেলা ১২টার দিকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রদক্ষিণ করে যাওয়ার সময় পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ সাহেদ আলী রবি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল নাসির আলাপের বাড়ি হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে মিছিলকারীরা।
এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু জানান, কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই যুবলীগের নেতাকর্মীরা পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
ভাঙচুরে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছে পুলিশের এসআইসহ ৪ সদস্য। আহতরা হলেন, বাগেরহাট মডেল থানা উপ পরিদর্শক (এসআই) আশিকুর রহমান, এসআই আজগর আলী, কনেস্টেবল শিমুল মিত্র, শামছুর রহমান।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জিহাদ বলেন, মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করার সময় কিছু উশৃঙ্খল যুবক ওই বাড়িগুলোতে হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের এসআইসহ ৪ সদস্য আহত হয়েছেন।কাউন্সিলরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এছাড়া শহরে যে কোনো প্রকার সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে শহরের মুনিগঞ্জ ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে শামিমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক তাকে অবস্থায় প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।