চিতলমারীতে চাঞ্চল্যকর দুই কন্যাকে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার পিতা শাহ আলম কাজীর (৩৫) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বাগেরহাটের একটি আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই মেয়ে নিশা ও তিশা হত্যার দায়ে আদালত পৃথক ভাবে দুই বার ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৭ আগোস্ট সকালে শাহ আলম কাজী তার শশুরবাড়ী বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামে বেড়াতে গিয়ে বিদেশে যাবার জন্য শশুরের কাছে ৩ লাখ টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুই শিশু কন্যা নিশা মনি (সাড়ে ৪) ও তিশা মনিকে (৩) পাশ্ববর্তী চিংড়ি ঘেরে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে।
পরে ওই চিংড়ি ঘের থেকে তার দু’জনের লাশ উদ্ধার হয়।
হত্যাকান্ডের পরপরই পালিয়ে যাবার সময় পার্শ্ববর্তি ইউনিয়নের কলাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ও পুলিশের সামনে তিনি দুই মেয়েকে নিজ হাতে পানিতে চুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের মা জেরিন আক্তার বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় তার স্বামী শাহ আলম কাজীর (৩৫) কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আলম একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে শাহ আলম বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তীতে ফিরোজ দুই মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে দিনমজুর শাহ আলম কাজী বলেন করে শশুরের কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে রাগের বসবর্তী হয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটান।
আদালত উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এই ফাঁসির আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি শাহ আলম কাজী।
ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত আসামি শাহ আলম কাজী জেলার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে জিন্নাত আলী কাজীর ছেলে।
বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন দু’টি হত্যাকান্ডের ডাবল ফাঁসির আদেশ একসাথে কার্যকর হবে।
রায় ঘোষনা সময় আদালতে উপস্থিত মামলার বাদী ও নিহত দুই শিশু মেয়েরর মা জেরিন আক্তার লোপা রায়ে সন্তোষ জানান।
০৫ নভেম্বর ২০১৩ :: নিউজ ডেস্ক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআই হক-নিউজ এডিটর/বিআই