বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগ ও ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রণসেন মোড় এলাকয় উভয় পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের শুরু হয়।
এসময় কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও ৩ টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এদিকে ফের সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাগেরহাট ইনফোকে জানায়, রামপাল উপজেলায় ফয়লা এলাকায় ১৮ দল মিছিল ও সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে রণসেন মোড়ে তাদের উপর আওয়ামীলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। এসময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। এসময় কয়েটি দোকান ভাংচুর ও ৩ টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রামপাল থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, মিছিল শেষে হামলায় তাদের দলের ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত ও ৩টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামীলীগের ক্যাডারা।
আহত নেতাকর্মীদের মধ্যে থানা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুল হান্নান (৩১), গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সারাফাত হোসেন (৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্ত (৩৮), একই ইউনিয়নের যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোস্তাহিদ বয়াতী (৩৩) ও রামপাল সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে (২৮) স্থাণীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল বাবুল পাল্টা অভিযোগ করে বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, ১৮দল মিছিল নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিস ও কয়েকটি দোকানে হামলা-ভাংচুর চালায়।
হামলায় ৫/৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা ওয়ালিউল্লাহকে (২৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামাপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবু দাউদ বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ফের সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
০২ নভেম্বর ২০১৩ :: নিউজ ডেস্ক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআইএইচ-নিউজ এডিটর/বিআই