রোববার রাতে বাগেরহাটের কু-কোড়ামারা এলাকায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতা কর্মীদের নামে বাগেরহাট সদর থানায় দু’টি পৃথক মামলা হয়েছে। মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবুসহ প্রায় ৪’শ বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
সোমবার রাতে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মুকুল সরদার ও ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দ্রুতবিচার আইনে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যুবলীগ নেতা মুকুল সরদার বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলা ৫৪ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ আরও ২০/৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত পৃথক মামলায় আসামী করা হয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম, সাধারন সম্পাদক আলী রেজা বাবুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫০-২০০ নেতা কর্মীর নামে। এর মধ্যে ১০৯ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীদের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মঝে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার এস আই সবুরা বাংলানিউজে জানান, ঘটনার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃদের দুপুরে আদালতে পাঠান হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- আলম খান (৩৪), শেখ নুরুল (৪৫), আমিনুজ্জামান টুকু (৩৯), লিপু (২৭) এবং বাকি আর এক জনের নাম তাৎক্ষনিক জানাতে পারেন নি তিনি।
তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলায়। এর মধ্য এক জনকে গতকাল (সোমবার) রাতে এবং বাকিদের গতকাল সকালে আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল কবির বাগেরহাট ইনফোকে জানান, মুকুল সরদার ও মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে ভাংচুর ও দ্রুত বিচার আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের প্রায় ৪শ নেতা-কর্মীকে আভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে এ মামলায় ৫ জনকে আটক করেছে।
উল্লেখ, রবিবার রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বষ্ণিুপুর ইউনয়িনরে কু-কোড়ামারা গ্রামে চায়ের দোকানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় উভয় পক্ষে অন্তত ২০ নেতা-কর্মীর। পরে এ ঘটনায় ওই এলাকায় স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের ২০ নেতা-কর্মীর বাড়ী, দোকান-পাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয় এক আ.লীগ নেতার মটরসাইকেলে।
২২ অক্টোবর ২০১৩ :: নিউজ ডেস্ক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআইএইচ– নিউজ এডিটর/বিআই