বাগেরহাটের শরনখোলায় চাচাকে হত্যার ভাতিজার মুত্যুদন্ড। দুই পুত্রসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
রবিবার দুপুরে জনার্কীর্ন আদালত এই রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম সোলায়মান।
দন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান (৪৫), মো. সেলিম (৪০), নিহত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের দুই ছেলে শাহ আলম হাওলাদার (৩৫) এবং মো. জিরুল হাওলাদার।
এদের মধ্যে ভাতিজা খলিলকে ফাঁসি এবং আরেক ভাতিজা মো. সেলিম ও নিহতের দুই ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত। একই সাথে বিচারক যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ৩ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমান আদায় অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে।
আদেশের সময় ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী খলিল ছাড়া অন্যরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। চার্জশীট দাখিলের পর থেকেই সে পালাতক রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ হাওলাদার ২০০৩ সালের ৭ মে ফজরের নামাজের সময় নিজ বাড়ির পুকুরে ওযু করতে যেয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে আব্দুল লতিফের উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে মো. কামরুল ইসলাম ইউনুস বাদী হয়ে অজ্ঞাত লোকদের আসামী করে ৮ মে শরনখোলা থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৫ আগষ্ট নিহতের দুই ছেলে ও দুই ভাতিজাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নিহত আব্দুল লতিফের চারজন স্ত্রী এবং ১৮ জন ছেলেমেয়ে থাকায় পারিবারিক নানা বৈষয়িক সমস্যা ছিল। বৈষয়িক সমস্যার কারনে নিহতের দুই ছেলে ও দুই ভাতিজা তাকে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বলে মামলার তদন্তকর্মকর্তা তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।