তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ এখন দ্বিগরাজের। লংমার্চের সমাপনি সমাবেশ ও সুন্দরবন ঘোষনা পত্র পাঠ চলছে।
কিছুক্ষন আগে এ সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে লংমার্চ মংলার দ্বিগরাজে এসে পৌঁছায়।
এদিকে, বাগেরহাটে সমাবেশ শেষে চুলকাঠিতে পথ সভার পর লংমার্চটির প্রকল্প এলাকার সবচেয়ে কাছে গেীরম্ভায় পথসভা করার কথা থাকল্ওে তা হয়নি।
কারণ ঢাকা থেকে২৮টি গাড়ি নিয়ে শুরু হওয়া লংমার্চ টি বাগেরহাট ছাড়ে১০৯টি গাড়ি নিয়ে। এই বিশাল বহর নিয়ে ভেতরের সরু রাস্তা পার হওয়া কঠিন হওয়া সেখান কার পথ সভাটি বাতিল করা হয়।
এদিকে, বাগেরহাট থেকে মংলা দ্বিগরাজে যাওয়ার পথে সম্পূর্ন রাস্তার জুড়ে দু’পাশে লাক্ষ জনতা লংমার্চকে সমর্থন জানিয়ে স্বাগত জানায় লংমার্চের বহরকে।
কিছু ক্ষন আগে জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বক্তবে শেষে এই মুহুর্তে সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ লংমার্চের সমাপনী ও সুন্দরবন ঘোষনা পত্র পাঠ করছেন।
লংমার্চের মিছিলে বাগেরহাট
ঢাকা থেকে শুরু হওয়া সুন্দরবন মুখি লংমার্চের মিছিলটি শেষ দিন শনিবার দুপুরে এসে পৌছালে বাগেরহাট শহর মিছিলে-মিছিলে প্রকম্পপিত হয়ে উঠে।
দুপুর সাড়ে ১২ টায় লংমার্চ শহরের বাসস্টান্ড এলাকায় এসে পৌছালে বাগেরহাটসহ খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর থেকে আসা খন্ড-খন্ড মিছিল লংমার্চকে স্বাগত জানায়।
প্রায় দেড় শতাধিক গাড়ী ও পায়ে হেটে লংমার্চকারীরা বাগেরহাট শহর প্রদক্ষিন করে। সুন্দরবন আমাদের মা- এ মায়ের কোন ক্ষতি হতে দেবো না এমন শ্লোগান দিয়ে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিন করার সময় হাজার হাজার মানুষ হাত নেড়ে লংমার্চের সাথে সংহতি প্রকাশ করে।
লংমার্চে নিজ ভূমে পরবাসী আওয়ামী লীগ
সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের দাবীতে শেষ দিনে বাগেরহাটে লংমার্চ এসে পৌছালে শাসকদল আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সকল রাজনৈতিক দল পেশাজীবী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাতে শরিক হন। এসব সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী বাগেরহাট থেকে বিকালে সুন্দরবনের পাদদেশে মংলার দীঘরাজে লংমার্চের সমাপনী সমাবেশে যোগ দেন।
সুন্দরবন রক্ষার এ লংমার্চে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও পরিবেশবাদী সংগঠন যোগ দিলেও অনুপস্থিত ছিলো আওয়ামী লীগ। অনেকেই এটাকে দেখছেন আওয়ামী লীগের নিজ ভূমের পরবাসীর মত ঘটনা হিসাবে।
লংমার্চের ব্যনার-ফেষ্টুন চুরি
বাগেরহাটের বিভিন্নস্থনে সুন্দরবন রক্ষায় লংমার্চের আহবান জানিয়ে টানানো তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির, সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা সুন্দরবন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্যানার-ফেসষ্টুন টানায়।
লংমার্চ বাগেরহাট এসে পৌছবার আগের রাতে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ, কাটাখালী মোড়, মহিষ খামারের সামনে টানানো লংমার্চের ব্যনার-ফেষ্টুন কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। স্থানীয় তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ফররুক হাসান জুয়েল এ ঘটনার জন্য স্থানীয় শাষক দলকে দায়ী করেছেন।
এদিকে পুলিশ বলছে রাতের আধারে এসব ব্যনার-ফেসষ্টুন চুরির সাথে কারা জড়িত তা খুজে বের করা হবে।
লংমার্চে বিএনপি-জামায়াত
দুপুরে বাগেরহাট বাসস্টান্ডে লংমার্চ এসে পৌছালে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, এ লংমার্চ কোন রাজনৈতিক দলের নয়। এটি জাতীয় সম্পাদ ও সুন্দরবন রক্ষার লংমার্চ। বাম জোটের এই লংমার্চে সবাইকে শরিক হওয়ার আহবান তিনি।
এদিকে বিকালে বাগেরহাট থেকে মংলার দীঘরাজ অভিমুখে লংমার্চে যোগদেয় শতশত বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরাও।
মোড়ে-মোড়ে তোরন
খুলনা-মংলা মহাসড়কের কাটাখালী মোড় থেকে মংলার দীঘরাজ পর্যন্ত তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা সুন্দরবন মোড়ে-মোড়ে দৃষ্টি নন্দন তোরন নির্মান ও ব্যানার ফেসষ্টুন দিয়ে গোটা মহাসড়ক ছেয়ে দিয়েছে।
যা লংমার্চসহ সকল পথচারীদের সৃষ্টি কারে।
উদ্দোগতারা জানান, সুন্দরবন আমাদের মা, কোন অবস্থায় তাকে ধ্বংস করা যাবে না। সুন্দরবন বাচাঁতে জাতীয় এই লংমার্চে তার সংগঠন সক্রিয় অংশ গ্রহনসহ নিজ ব্যায়ে এসব তোরন নির্মান ও ব্যনবার ফেষ্টিুন স্থাপন করেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: নিউজ এডিটর,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআইএইচ-/বিআই