সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঢাকা-রামপাল লংমার্চের বাগেরহাটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর লংমার্চ বাগেরহাটে পৌছানর পর জাতীয় কমিটির নেতাদের স্বাগত জানিয়ে নিয়ে আশা হয় সমাবেশ বাগেরহাট স্থল পুরাতন কোর্ট চত্বরে।
এসময় ব্যপক জন সমাগমের মাঝে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ সহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে প্রকৌশলী মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছে। কেউ সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে পারবে না। পদে পদে বাঁধা দেওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়লেও কোথাও কোন বাঁধা দেওয়া হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে লংমার্চ বহরকে সহায়তা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভারত নিজের মাটিতে ফিরে যাও। সুন্দরবন ধ্বংস করতে এদেশে এসো না। বিদেশী কোন কোম্পানিকে এদেশের সম্পদের ক্ষতি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ইজারা দেওয়া হবে না।
ভারত তার নিজের দেশে পর্যন্ত ৩ বার চেষ্টা করেও এ ধরনের কোম্পানি তৈরি করতে পারেনি। এখন বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় জনগন ও পরিবেশকে ধ্বংসের জন্য বেঁছে নিয়েছে। বাংলার প্রতিটি মানুষ সুন্দরবন ধ্বংস করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
প্রফেসর আনু মোহাম্মদ বলেন, এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের যেকোন দেশ এমনকি রাশিয়া বা চীন্ও যদি এধরনের প্রকল্প নিয়ে সুন্দরনব তথা বাংলাদেশ ধ্বংস করতে আসে তা প্রতিহত করবে। সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে লংমার্চকে সহায়তা করা হচ্ছে। পথে পথে জনগনের স্বতষ্ফুর্ত সাড়া পাওয়া গেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই লংমার্চ বহরে অংশ নিচ্ছে। তাদের সথে দেশের সকল জনগন আছে।
এসময় সরকারকে তিনি জনগনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. শহিদুল্লাহ দেশের স্বার্থবিরধী রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের তড়িঘড়ি প্রসঙ্গে দেওয়া একান্ত এক স্বাক্ষাতকারে বলেন, ‘জনগনই শক্তি, জনতাই নেতা। আর জনগনই দেশকে রক্ষা করবে’।
সমাবেশ শেষে দুপুরের খাবার শেষ করে নেতারা বর্তমানে রামপাল প্রকল্প এলাকার কাছে মংলা দ্বিগরাজ বাজারে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। এখানে সুন্দরবন ঘোষনাপত্র পাঠের মাধ্যমে লংমার্চের সমাপ্ত হবে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে শেষ হয়েছে লংমার্চের সমাপনী ও সুন্দরবন ঘোষনা পত্র তৈরি। সমাবেশ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ প্রতিহত, সুন্দরবন রক্ষার এবং পরবর্তি ঘোষনা দেওয়া হবে জানা গেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: নিউজ এডিটর,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআইএইচ-/বিআই