দেশবিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করে বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শুরু হয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টা পাঁচ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘লংমার্চ’। জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লংমার্চটি পৌঁছায় আসাদ গেটে। সেখান থেকে বাসে চড়ে তারা সাভারের রানা প্লাজার উদ্দেশ্যে রওনা করে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম পথসভা।
সুন্দরবন বাঁচানোর স্লোগান নিয়ে রামপাল (সুন্দরবন) অভিমুখে লংমার্চটি সাভারের রানা প্লাজার সামনে ১ম পথসভা শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় পথসভা শেষে যাত্রা বিরতি করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর বিকেল পৌনে ৫টায় যাত্রা করেছে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে লংমার্চটি পৌঁছায় মানিকগঞ্জ। সেখানে জনসভা শেষে রাত্রিযাপন করবে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা।
পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে পাটুরিয়াঘাট-গোয়ালন্দন, রাজবাড়ীতে জনসভা, বিকালে ফরিদপুরে জনসভা ও রাত্রিযাপন। ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে মধুখালী-কামারখালী-মাগুরা হয়ে ঝিনাইগাহে জনসভা, বিকালে কালিগঞ্জ হয়ে যশোরে জনসভা ও রাত্রিযাপন। ২৭ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে নওয়াপাড়া হয়ে ফুলতলায় জনসভা, ফুলবাড়ী গেট-দৌলতপুর-খালিশপুর হয়ে বিকালে খুলনা হাদিস পার্কে জনসভা ও রাত্রিযাপনের পর ২৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করবে তারা।
এদিকে লংমার্চ সফল করতে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা বাগেরহাটে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
মঙ্গলবার দিনভর পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা সুন্দরবনের চেয়ারম্যান ও ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা, উজলকুড়, রাজনগর ও হুরকা ইউনিয়নে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারে পথসভা ও গ্রামে-গ্রামে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষায় চলমান লংমার্চ সফল করতে ব্যাপক গনসংযোগ করে।
এসময় তার সাথে ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা মোজাহিদুল ইসলাম ও রামপাল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ নওশের আলী প্রমূখ।
অপরদিকে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা শাখার সদস্য সচিব ফকরুল হাসান জুয়েল নেতৃত্বে মংলা শহর-বন্দর ও রামপালে চেয়ারম্যান বাড়ী, ঝনঝনিয়া ও বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি বাজারে লংমার্চের সমর্থনে লিফলেট বিতরন, পথসভা ও গনসংযোগ করে।
এসময় তার সাথে ছিলেন মংলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিপিবি নেতা নূর আলম, ওয়ারকার্স পার্টির নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা যুগল মল্লিক প্রমূখ।
এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন জেলার প্রতিটি স্কুলসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লংমার্চের সমর্থনে গনসংযোগ করে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর লংমার্চের শেষ দিনে দুপুরে বাগেরহাটে ও বিকালে রামপাল হয়ে সুন্দরবনের পাদদেশে মংলার দীঘরাজে জনসভা ও সুন্দরবন ঘোষনা পত্র পাঠের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবার কথা রয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।