বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা গাড়ফা এলাকার এলএসডি খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্যশস্য পাচারের ঘটনায় গঠিত প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে গুদামে সর্বমোট ৭ হাজার ৩২৭ বস্তা খাদ্যশস্য কম পেয়েছে। যার গড় ওজন ৪১৯.১০২ মে:টন। সরকারি হিসাব অনুযাই এর মূল্য ২ কোটি তিন লাখ ৭১ হাজার ৪৮২.৬৯ টাকা।
এসমব খাদ্য শ্যসের চাল ৫ হাজার ৬ শত ৯৪ বস্তা যার গড় ওজন ১৪৯.৬৩ মে: টন। গম ১২৮০ বস্তা। যার গড় ওজন ১৩২.১৯৮ মে: টন। ধান ৩৫৩ বস্তা যার গড় ওজন ১৩৭.২৭৪ মে: টন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্র বাগেরহাট ইনফোকে এ তথ্য নিশ্চত করেছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফোকে জানান, জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ মোঃ রফিকুল ইসলামের সার্বক্ষণিক উপস্থিতিতে কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস মোলাহাট খাদ্য গুদমের খাদ্য পাচারের বিষয়টি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে আজ এই প্রতিবেদন দিয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ খাদ্যপাচারের ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা (ওসি ফুড) মিলন কুমার মন্ডল। তিনটি গুদামের চাল, গম ও ধানের মোট ১৫টি খামালের(সারি) মাঝখানে খালি রেখে চারপাশে বস্তা সজিয়ে রাখেন। এর মধ্যে একটি খামালে চাল, গম ও ধানের বস্তা মিশিয়ে সাজানো হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের প্রতিবেদনে মন্তব্যে উল্যেখ করেছেন এতবড় ঘাপলাবাজির কথা কোনদিন শোনা যায়নি।
শুধু তাই নয়, মোলাহাটের বহু মানুষের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ পর্যন্ত মোট প্রায় এক কোটি টাকা ধার ও ঋণ হিসেবে গ্রহণ করে পালিয়ে গেছেন ওই কর্মকর্তা। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় ও কয়েকটি রাইস মিল থেকে গুদামের জন্য চাল ক্রয় করে টাকা পরিশোধ করেন নি তিনি।
এদিকে খাদ্য প্যাচারের ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বেগম লায়লা আফরোজা বাদী হয়ে মোলাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে পলাতক গুদাম কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের সাতপাড় এলাকার শম্ভুনাথ মন্ডলের ছেলে মিলন কুমার মন্ডলকে।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর মোল্লাহাট খাদ্য গুদমের নতুন কর্মকর্তা যোগদান করতে এলে তাকে দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে ওসি ফুড মিলন কুমার মন্ডল পালিয়ে যায়। পরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ও পুলিশ মোলাহাট বাজার থেকে পাচারা হওয়া সাড়ে ৫শ বস্তা চাল ও গম উদ্ধার করে।
Related News-
মোল্লাহাটে খাদ্য গুদাম থেকে পাচারকৃত সাড়ে ৪শ বস্তা চাল ও গম উদ্ধার; কর্মকর্তা পলাতক
FOLLOW-UP বাগেরহাটের মোল্লাহাটে খাদ্য গুদামে হরিলুট; দু’দিনে সাড়ে ৫শ বস্তা খাদ্য-শষ্যে উদ্ধার
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: আহসানুল করিম ও ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।