জামায়াতের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে বাগেরহাটে মিছিল ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ৮ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহষ্পতিবার সকালে পিকেটিংকালে শহরের দশানী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত শিবির কর্মীরা হলো বাগেরহাটের রাধাবল্বভ এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান, মনিরুজ্জামানের ছেলে মাসুক, বৈটপুর এলাকার সহিদ শেখের ছেলে পাপন শেখ, ফতেপুর এলাকার আলোক পালের ছেলে সুজন কুমার পাল, কচুয়ার বিলকূল এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে সোহেল, আব্দুজ জব্বারের ছেলে ওমর ফারুক, রনবিজয়পুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম, দেওয়ানবাটী এলাকার সেলিম দিহিদারের ছেলে লেলিন দিহিদার।
এদিকে সকালে হরতালে গাড়ী চলাচলের সময়ে বাগেরহাট শহরতলীর খানকা শরীফ এলাকায় বনফুল পরিবহনের একটি গাড়ী ভাংচুর করে পিকেটারা। পরে গাড়ীটি দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
অপরদিকে হরতালের সমর্থনে সকাল ৮টায় বাগেরহাট জেলা জামায়াত শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে মহাসড়কের অবস্থানা নিয়ে অবরোধ ও সমাবেশ করে।
এ সময়ে সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবর রহমান, মাও. রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার (এএসআই) মমতাজ বেগম বাগেরহাট ইনফোকে জানান, সকালে হরতালে পিকেটিং করার সময়ে হিন্দু শিবির কর্মীসহ ৮ শিবির কর্মীকে পুলিশ আটক করে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) এরশাদুলল কবির চৌধুরী বাগেরহাট ইনফোকে জানান, আটকরা বাস ভাঙচুর ও নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
এছাড়া হরতালে বাগেরহাটে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অন্য হরতালের দিনের তুলনা যানবাহন চলাচল ছিল একটু বেশি। তবে অভ্যান্তরীন ও দুরপাল্লার রুটের কোন যাত্রীবাহিন পরিবহন চলাচল করেনি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: নিউজ ডেস্ক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআইএইচ-নিউজ এডিটর/বিআই