বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের বাদশা মিয়া হাওলাদার (৪৫) নামের এক প্রবাসীর বাবাকে অপরণের পর গুলি করে হত্যা করেছে বনদস্যু কালু বাহিনী।
এঘটনায় পুলিশ বন থেকে লাশ উদ্ধার করে আজ (শুক্রবার) সকালে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের পারিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবিতে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের রয়ের বাঘিনী নামক স্থানে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে বনদস্যু কালু বাহিনী।
পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ৪টার দিকে মুখোশধারী কয়েকজন ঘরে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাদশা মিয়াকে তুলে নিয়ে যায়। যাবার সময় অপহরণকারীরা বনদস্যু কালু বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তার মুক্তিপণের জন্য ১০লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল দাবি করে তার স্ত্রী শেফালী বেগমের হাতে একটি কাগজের তালিকা ধরিয়ে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
মুক্তিপণের টাকা নিয়ে গতাকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল চারটার সময় যেতে বলা হয় পূর্ব সুন্দরবনের দস্যুদের দেয়া ঠিকানায়।
তাদের কথা মতো ওইদিন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে তার স্ত্রী চাচা শ্বশুর মোখলেজ হাওলাদার (৭০) ও প্রতিবেশী আলম তালুকদারকে (৩৫) নিয়ে বনের রায়ের বাঘিনী এলাকায় যান। টাকা গ্রহনের পর তাদের সামনে নির্মমভাবে বাদশা মিয়াকে বুকে গুলি করে দস্যুরা বনে গহীনে চলে যায়।
নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, স্বামীর সঙ্গে তার ছোটভাই বাদল হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। দস্যুদের ভাড়া করে এনে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নিহতের ছেলে সৌদি প্রবাসী আল আমীন হাওলাদার মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তার বাবার বাইরে কোনো শত্রু নেই। জমিজমা নিয়ে চাচা বাদল হাওলাদারের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বাগেরহাট ইনফোকে জানান, অপহরণের পর নিহতের স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু স্বামীর নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বনের মধ্যে খালের চরে পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য আজ সকালে লাশ বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: উপজেলা করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।