সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে বিজ্ঞান আন্দলন মঞ্চ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বরিশাল মেডিকেল কলেজ বিজ্ঞান আন্দলন মঞ্চের আহবায়ক মনীষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, বাগেরহাট জেলা শাখার আহবায়ক ও সরকারি পিসি কলেজের ছাত্র দীপ্ত ঘোষ, গেীতম দেবনাথ, সুপ্রভাত হালদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যেখানে ভারত তার নিজ দেশের মধ্যপ্রদেশে এই এনটিপিসি কম্পানির মধ্যমে এধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মানের অনুমতি দেয়নি সেখানে আমাদের সরকার সুন্দরবনের পাসে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করতে যাচ্ছে। যা কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়।
তারা বলেন, সুন্দরবনের পাসে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে প্রতিবছর সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন ছাই উৎপাদিন হবে যা সুন্দরবনসহ এ অঞ্চলেন পরিবেশ ধ্বংস করবে। তাছাড়া বনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহন হলে কয়লার গুড়ো বাতাস ও পানিতে মিলে পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে।
রাতে জাহাজ চলাচলের সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণীসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু পাখির জীবন চক্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এ প্রকল্পের চুক্তি অনুযাই মাত্র ১৫ ভাগ বিনিয়গ করে অর্ধেক মুনাফা নিবে ভারত।
তাই তারা সরকারকে দেশের স্বার্থ বিরধী এই প্রকল্প থেকে সরে আসার আহবান জানান তারা।
মঞ্চের জেলা শাখার আহবায়ক দীপ্ত ঘোষ বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা লংমার্চের সাথে তাদের একাত্ততার কাথা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, সুন্দরবন নানা সময় নিজের জীবন দিয়ে বাগেরহাটসহ উপকুল বাসিকে রক্ষা করেছে তাই সুন্দরবন রক্ষাও বাগেরহাট বাসিকে তাই অগ্রণী ভূমিকা রাথতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে তিনি এ আন্দলনের সাথে থেকে বাংলাদেশের প্রান সুন্দরবন রক্ষার আহবান জানান।
উল্লেখ, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারী ও কৈগরদাসকাঠী মৌজা এলাকায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে যৌথভাবে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের চুক্তি করে।
ভারতের রাষ্টিয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানী (এনটিপিসি) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মধ্যে চুক্তির আগে থেকেই এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করে এর বিরধিতা করে আসছে দেশি-বিদেশি পরিবেশবাদি সংগঠন গুলো।
আর সুন্দরবন রক্ষাসহ ৭ দফা দাবিতে আগামী ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন অভিমুখ লংমাচের ডাক দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক,নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।