সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুধমুখি খাল এলাকায় কোষ্টগার্ড ও বনদস্যু শীর্ষ্য বাহিনির মধ্য বন্দুক যুদ্ধে ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে দস্যুদের একটি আস্তানা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এসময় অপহৃত চার জেলে, ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা ও দস্যুদের ব্যবহৃত একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় দুই দস্যুকে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, সেকেন্দার ফকির(৩৬), আ: আজিজ, জালাল ও আবু জাফর। এদের বাড়ি বাগেরহাটের মংলা উপজেলার আমড়াতলা ও সোনাইলতলা গ্রামে।
কোষ্টগার্ড জানায়, রোববার রাতে বনদস্যু শীর্ষ বাহিনী বনের খাঁজুরার খাল থেকে ওই ৪ জেলেকে অপহরণ করেছিল। অসুস্থ জেলেদেরকে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মংলা হেড কোয়ার্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মোংলাস্থ কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার মহিউদ্দিন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, কোস্টগার্ডে একটি টিম অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে সোমবার ভোরে অভিযান শুরু করে। সকাল ৬টার দিকে তারা শরনখোলার সুপতি স্টেশনের দুধমূখী খালে প্রবেশ করলে দস্যুরা বনের ভেতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে।
এসময় কোস্টগার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষ্যের মধ্যে এসময় থেমে থেকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে গোলাগুলি চলে। এতে কোস্টগার্ড ও দস্যুদের মধ্যে ৩০-৪০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
এক পর্যায়ে দস্যুরা পিঁছু হটলে তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি নালা বন্দুক, ৩টি ওয়ানশুটারগান, ৭৭ রাউন্ড গুলি, একটি ট্রলার ও একটি নৌকাসহ অপহৃত ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পালিয়ে যাবার সময় কোষ্টগার্ড সদস্যরা মো: মুকুল ফকির (২৫) ও মো সোহাগ শেখ (৩০) নামে দুই বনদস্যু কে আটক করে। পরে দস্যুদের আস্তানাটি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান কোষ্টগার্ড এর ঐ কর্মকর্তা।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।