বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমানকে পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছেন।
এ ঘটনা উপজেলা সদর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার মাসিক সভা চলাকালে এঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও রামপাল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগষ্ট পালন উপলক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল পাশে বসে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন।
এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান তাকে থামতে বলেন। এর পর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান।
সোমবার সকালে উপজেলার মাসিক সভায় চেয়ারম্যান বাবুল উপস্থিত হয়ে কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই অসৌজন্য মূলক আচরন শুরু করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ ইউপি চেয়ারম্যান বাবুলকে থামতে বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে সরাসরি প্রকাশ্য সভায় জামায়াত জঙ্গিবাদের চর বলে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে পুলিশের উপস্থিতিতে সভা শেষ হয়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলীকে অবহিত করলে তিনি উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ওবায়েদুর রহমানকে রামপাল পাঠান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।
এদিকে এ খবরে কেসিসি সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা থেকে রামপাল ছুটে আসেন।
এবিষয়ে পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিজকে জানান, আমাদের কোন কথাই শোনা হয় না। এর বেশি কিছু বলতে চইনা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, “বিকেল ৫ টায় উপজেলা প্রশাসন ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকের কথা বলে ছিলেন সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। কোন বৈঠক না হলেও তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। তবে এসময় তিনি কোন সিদ্ধান্ত জানান নি”।
এসময় তিনি বাগেরহাট ইনফোর কাছে তারা ও তার পরিবারের নিরাপত্তা হীনতার কাথা জানান।
সর্বশেষ সোমবার সন্ধা ৭ টায় রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রেজাউল করিম জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া টিএনও এর নিরাপত্তার জন্য অতিরুক্ত পলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, এঘটনায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে বাগেরহাট মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডের সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আঃ জলিল এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে উপজেলা পরিষদ এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: এম, এ সবুর রানা সহায়তায় ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।