সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দিগরাজে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মনোয়ার ইসলাম।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি জানান, আগামী অক্টোবরের যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান কাজের উদ্বোধন করবেন।
এ সময়ে স্থানীয় সুধীজন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, পরিবেশের নুন্যতম ক্ষতি হোক এমন কাজ করতে দেওয়া হবে না। আমরা সকলে সুন্দরবনকে ভালবাসি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের বাপার জোন থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তাই সুন্দরবনের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
ধারণা করা হচ্ছে, উদ্বোধনের প্রস্তুতি হিসেবে বিদ্যুৎ সচিব এদিন সকালে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করেন।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন কালে তার সাথে ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্থানীয় (বাগেরহাট-৩ আসনের) সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন্নাহার, প্রকল্পের পরিচালক রবিন্দ্রনাথ সমর্দ্দার, প্রকল্পের কনসালটেন্ট আজিজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারি ও কাটাখালী এলাকায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের মাত্র সাড়ে নয় কিলো মিটার দূরে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সাথে যৌথভাবে দুটি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। প্রায় ১ হাজার তিন শত বিশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যে এক হাজার ৮৩৪ একর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হয়।
সুন্দরবনের অদূরে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারী চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এর পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের আশংকায় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।