বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে মংলা সমূদ্র বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবদ রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাগেরহাটসহ দক্ষিনাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে কখন হালকা আবার কখনও ভারী বর্ষন হচ্ছে। গত কয়েকদিনের হালকা ও ভারী বর্ষন এবং লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকার নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দেড় থেকে ৩ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে জেলা শহরসহ মোরেগঞ্জ, শরনখোলা, মংলা, রামপাল এলাকার নিম্নঅঞ্চল ও চিংড়িঘের।
মংলা আবহাওয়া অফিস থেকে মাইকিং করে ৩ নম্বর সতর্কতা জারি করে।
এদিকে, লঘুচাপের প্রভাব ও বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে মংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও জেটিতে পন্য ওঠানামার কাজ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ট্রাফিক মাহবুব উল্লাহ জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি ও নদীতে প্রচুর ঢেউ এর কারণে বন্দরের সব পন্য ওঠানামার কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের নির্দেশ পাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকা সুন্দরবন সংলগ্ন দুবলা, মেহের আলীর চরসহ আসপাশের চরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। অনেক নৌকা ও ট্রলার সতর্কতামূলক আশ্রয় নিয়েছে সুন্দরবনের ছোট ছোট খাল গুলোতে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ২৫ এর সময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, জলবায়ু পবিবর্তন, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, পূর্নিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি কারনে একটু বৃষ্টিতেই এখন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্ন অঞ্চল। লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি পাতের কারণে জেলার নদ-নদী গুলোর পানি বৃদ্ধিতে কিছু নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ার মত ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রশাসন পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।