কোস্টগার্ডে অভিযানের মধ্যেও মাত্র ২৪ ঘন্টার মাথায় বঙ্গোপসাগর ও সুন্দবনের দুবলার চর সংলগ্ন নারকেলবাড়িয়া এলাকায় ফিশিং ট্রলারে আবারো গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল (শুক্রবার) রাত ২টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত দস্যুরা জেলেবহরে এ তান্ডব চালায় বলে জেলে সুত্রে জানা গেছে।
এসাময় জলদস্যু শীষ্য বাহিনীর সদস্যরা একটি ট্রলারসহ আরো ৩০ জেলেকে অপহরণ করেছে। লুটে নিয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ইলিশ ও অন্যান্য মালামাল।
অপহৃতদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের টলার এফবি মুন্না- ২ এবং মাঝি নূরু তালুকদার ও খোন্তাকাটা গ্রামের মনির আকনের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি মো. বাদলের নাম জানা গেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় মংলার কোস্টগার্ড ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতারা বাগেরহাট ইনফোকে ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জানান, শুক্রবার রাত ২টার দিকে শীষ্য বাহিনী ৪০-৪৫ জন সশস্ত্র দস্যু দুটি ট্রলারে এসে নারকেলবাড়িয়া এলাকায় মাছধরা ৪০-৫০ টি ট্রলারে হামলা চালিয়ে জেলেদের মারধর করে প্রথমে ট্রলারে থাকা ইলিশ মাছ, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়।
এসময় বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৩০ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চলতি মাসে ফিশিং ট্রলারে তিনদফা ডাকাতি, অপহরণ ও মাছ লুটের ঘটনায় জেলেরা এখন সাগরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এ অবস্তা চলতে থাকলে মহাজন-জেলে উভয়ই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ওই মৎস্যজীবী নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কোষ্টগার্ড মংলা সদর দপ্তরের লে. কমান্ডার মহিউদ্দিন ফিশিং ট্রলারে আবারো ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করে রাতে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরই মধ্যে গত বুধবার রাতে অপহৃত মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মংলা এলাকার ৪ জেলেকে আজ (শনিবার) দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।