বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এরাকায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইলিশ ধরা ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দস্যুরা এ সব ট্রলার থেকে মাছ, জ্বালানী তেল, ইঞ্জিনসহ কোটি টাকার মালামাল লুঠ করেছে এবং প্রতিটি ট্রলার থেকে এক জন করে অন্তত ৩০ জেলেকে দেড় কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে। ঘটনার শিকার জেলেদের দাবি, বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে সুন্দরবনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কোস্টগার্ড ও র্যাব-৮ এর কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেননি।
বাগেরহাট সদর ও শরণখোলা উপজেলা এবং মহিপুর এলাকার মৎস্যজীবী নেতা জানান, এদিন (বৃহস্পতিবার) ভোরে সাগরের ১নং বয়া এলাকায় বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য শক্তিশালী দু’টি ট্রলারে এসে জেলে বহরে হামলা চালায়। এসময় সেখানে থাকা ৭০টি ফিশিং ট্রলারে ইলিশ আহরন করছিল। জলদস্যুদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকেই ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ৩০ ট্রলারের মাঝি ও ট্রলার বনদস্যুদের কাছে মুক্তিপনের দাবীতে অপহৃত হয়।
শরনখোলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, ২০/৩০ জন মাঝিকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার খবর তারা পেয়েছে। এরমধ্যে শরনখোলার তহিদুল তালুকদারের এফবি মারজান ট্রলারের ধলু মোল্লা, আঃ হাইয়ের এফবি আল্লfর দান ট্রলারের জামাল ও আনোয়ার মিয়ার ট্রলারের মাঝি অপহৃত হয়েছে।
পাথরঘাটার মহিপুর আড়ৎদার সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জানান, এই ঘটনায় তাদের এলাকার ৫টি ট্রলারে ডাকাতির খবর তার কাছে এসেছে। এর মধ্যে একটি ট্ররারের একজন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এছাড়া মহিপুরের ছোট বাইশদিয়া গ্রামের নাসির মিয়া, বাবুল হাওলাদার, মহিপুরের নাসির মিয়া ও এফবি সাগর ফিশিং ট্রলার থেকে ডাকাতরা কমপক্ষে ৮ লাখ টাকার ইলিশ, ট্রলারের ইঞ্জিন, ১৫টি মোবাইল ফোন সেটসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে। তিনি অপহৃত ঐ জেলের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
বাগেরহাট জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, তাদের সমিতির বাচ্চু মিঞার এফবি মামা-ভাগ্নে থেকে জাহাঙ্গীর বাহিনী বৃহস্পতিবার ভোররাতে ট্রলারের মাঝি জয়নালকে অপহরণ করেছে এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গণডাকাতির খবর শোনার পরে থেকে কোস্টগার্ড মংলা, শরণখোলা ও সাতক্ষীরার তিনটি টিম অভিযান শুরু করেছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।