সুন্দরবনের সন্নিকটে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রতিবাদে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা একটি তাজমহল নষ্ট হলে আরও একটি তাজমহল বানাতে পারবেন। কারণ এটি কৃত্রিম। তবে একটি সুন্দরবন ধ্বংস হলে আর কোনদিন এই সুন্দরবন সৃষ্টি করতে পারবেন না। কারণ এটি প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি। তাই বাংলাদেশের মানুষ ও দক্ষিনাঞ্চলের গরীব মানুষের এই সম্বলটিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র থেকে সরে দাঁড়ান। অন্যথায় দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ জীবন দিয়ে হলেও এই ক্ষতির হাত থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করবে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় খোঁদ পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্র প্রদানে করায় দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত। দেশের সকল মহল আজ সুন্দরবনের পাদদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের বিরোধীতা করছে। সুন্দরবন আমাদের মা।
তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। অথচ গুটি কয়েক স্বার্থান্ধ ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারের নামে এবং সরকারের মদদপুষ্ট কতিপয় ব্যক্তি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার লোভে আমাদের এই মা তুল্য সুন্দরবনকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সেভ দ্যা সুন্দরবন ও বাগেরহাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সেভ দ্যা সুন্দরবনের প্রধান উপদেষ্টা ও বাগেরহাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
Related Post :-
সুন্দরবনের পাশে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মানে পক্ষে মত দিল পরিবেশ অধিদফতর
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সেভ দ্যা সুন্দরবনের খুলনা বিভাগীয় প্রধান সুশান্ত দাস, সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট শেখ তাহসিন আলী, বাগেরহাটের সাবেক ছাত্রনেতা মো. সাইদ নেয়াজ শৈবাল, ব্যবসায়ী রাকিব হাসান প্রমুখ।
এ সময় অভিযোগ করা হয় ভারত মাত্র ১৫ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ করবে আর আমাদের ও দাতাদের বিনিয়োগ ৮৫ ভাগ, সেখানে লাভ বণ্টন হবে সমান সমান। হাইকোর্টে রিট থাকলেও অ্যাটর্নি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ দিতে গেলে এক লাখ গাছ কাটা পড়বে এ কারণে বাঁধ হয়নি অথচ আমাদের সুন্দরবনকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে পরিবেশবাদী সংগঠন ও বিশেজ্ঞদের প্রবল আপত্তি সত্বেও রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) রিপোর্ট পরিবেশ অধিদফতরের এই অনুমতি প্রদান নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ফেসবুক, ব্লগসহ সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে।