পাল্টা গুলিতে নিহত চার বনদস্যু
সুন্দরবনে বনদস্যু মোর্তজা বাহিনীর গুলিতে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ আহত হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ে চার দস্যু নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পুটিয়ার চরে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। তবে চার বনদস্যু নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউদ্দিন বনদস্যুদের গুলিতে আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে আমরা কোনো লাশ না পাওয়ায় দস্যু নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। পুটিয়ার চর ও এর আশপাশের এলাকায় র্যাব ও পুলিশের তল্লাশি চলছে।’
জিয়াউদ্দিন সুন্দরবনের জেলেদের সংগঠন দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাঁর ভাই ও ফিশারম্যান গ্রুপের সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন আহমেদ গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে তাঁর বড় ভাই জিয়াউদ্দিন খুলনা থেকে বাগেরহাটের মংলায় আসেন এবং দুটি কার্গো ট্রলারে করে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের জেলে ও কর্মচারীদের জন্য মালামাল নিয়ে আলোর কোল চরের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর ১২টার দিকে চরপুটিয়া নামক স্থানে বনদস্যু মোর্তজা বাহিনীর সদস্যরা ওই ট্রলারে হামলা চালায়। এতে তাঁর ভাইয়ের মাথা ও বাঁ ভ্রুতে ছররা গুলি লাগে। এরপর কার্গোর জেলেরাও পাল্টা গুলি চালান। দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে মোর্তজা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে কামাল উদ্দিন দাবি করেন।
ওই ঘটনার পর পর জেলেরা জিয়াউদ্দিনকে উদ্ধার করে দুবলার চরে নিয়ে যান। পরে তাঁকে দ্রুত ঢাকায় আনার জন্য হেলিকপ্টার নেওয়া হয়। তাঁর ভাই কামাল উদ্দিন আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টার নামতে পারেনি। এ কারণে বড় ভাইকে কোস্টগার্ডের স্পিডবোটে করে মংলা নেওয়া হচ্ছে। এরপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে।
জিয়াকে মংলায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মংলায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাজেদুল হক। তিনি বলেন, মেজর জিয়ার ওপর কারা হামলা করেছে বা কারা নিহত হয়েছে, এসব বিষয় পরে তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।
সূত্র: প্রথম আলো।