আগামী ৩ আগষ্ট শনিবার ৪নং ফকিরহাট ইউপি উপ নির্বাচন। আজ রাত ১২টা থেকে শেষ হচ্ছে ৪নং ফকিরহাট সদর ইউপি উপ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা।
নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার সর্বত্ত এখন উৎসব মুখর। তবে এই উপ-নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কাও রয়েছে বেশ।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) নির্বাচনে পক্ষপাত মূলক আচারণের জন্য ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোন্তফাকে সন্ধায় বাগেরহাট পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং বর্তমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফকিরহাট থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কুমার সরকারকে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস সাত্তার জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ (বৃহষ্পতিবার) রাত ১২টা থেকে শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের মোট ভোটার ১৬ হাজার ৮৮৩জন, এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৫১৫ এবং মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৩৬৮ জন। এ ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি। এরমধ্যে ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪১টি, অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ১টি।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন ফকিরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আ. সাত্তার। এছাড়া থাকবেন ৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪২জন পোলিং অফিসার ও ৪১ জন সহকারী পোলিং অফিসার। ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ন নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে পাশকৃত যানবাহন ছাড়া ইঞ্জিনচালিত যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া প্রতি দুই কেন্দ্রের জন্য ১ টি করে স্টাইকিং পুলিশ ফোর্স এবং গোটা ইউনিয়নের জন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাবের ২ টি স্টাইকিং ফোর্স টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিসার মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোট ৬ জন প্রার্থী। এরা হলেন, প্রয়াত চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসানের স্ত্রী শিরিনা আক্তার কিসলু (আনারস), য়ুবলীগরে সভাপতি হারুন অর রশিদ (তালা), জামায়াত নেতা অধ্যাপক মাও. মোফাজ্জেল হায়দার (দোয়াত-কলম), বিএনপি নেতা শেখ মুশফিকুজ্জামান রিপন (মটরসাইকেল), বিএনপি নেতা মো. বাবুল শেখ (টেবিল) ও খান হাসানুর আলম (কাপ-প্রিচ)।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ মে ফকিরহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান রূপসা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হয়। যে কারণে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।