পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাট সদরের কয়েক হাজার পরিবারের মানবেতর জীবণযাপন, বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঠুকে পড়ছে লোকালয়।
পূর্ণিমার প্রভাবে গত তিন দিন ধরে নদীর পনি বৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা আজ আরও বেড়েছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে জেলার নতুন নতুন এলাকা। সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে পনি ঠুকে পড়েছে বাঁধের ভেতরকার ঘরবাড়ি।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেবল শহরের বিভিন্ন ইউনিয়নই নয় পানি ঢুকে পড়েছে পৌরশহরে। পৌর এলাকার নাগেরবাজার, বাসাবাটি, কেবি বাজারর বিসিক শিল্প এলাকসহ বেশ কিছু এলাকা। বাঁধের বাইরে থাকা ভৈরব পড়ের শতাধিক পবিরারের ঘর বাড়ি সম্পূণ চলেগেছে পানির নিচে। এছাড়া প্লাবিত হয়েছে উপজেলার রাধাবল্লব, অর্জনুর বহর, যাত্রপুর, ছোট শিংড়া, উজলকুড় এলাকার নিম্নাঞ্চলসহ শতাধিক গ্রাম।
বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে শহরের রাধাবল্লব, যাত্রাপুর, রহিমাবাদ সহ বেশ কিছু এলাকায়।
সদর উপজেলার রাধাবল্লব এলাকার জোবেদা বেগম দুপুরে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তিনি দিন ধরে রান্নার চুলায় পানি। একপ্রকার না খেয়ে থাকাতে হচ্ছে তাদের গত কয়েক দিনে প্রশাসন বা চেয়ারম্যন-মেম্বরের কেউ এক বারের জন্য তাদের খোজ নিতে আসেনি তাদের।
পৌর এলাকার হাড়িখালি গ্রামের মাছুম বিল্লাহ বলে, আমাদের ঘর বাঁধের বাইরে থাকায় গত কয়েকে মাস যাবত প্রতি অমাবশ্য-পূর্ণিমার জোয়ারের সময় তাদের ঘরের চাল প্রযন্ত পানি উঠে যাচ্ছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন স্থানে সুইচ গেটের মাধ্যমে পানি আটকে দেওয়ায় ছোট ছোট খাল ও বিল এলাকায় পানি যেতে পারছেনা। ফলে অতিরুক্ত পানির চাপে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নদীর দু’কুলের মানুষের ঘর বাড়ি।
একই অবস্থা জেলার ফকিরহাট উপজেলার বুড়বুড়িয়া, ডোঙ্গা, কোড়ামারা, হদেরহাট, মোড়েলগঞ্জের বারইখালী, কুঠিবাড়ী, কাঁঠালতলা, গাবতলা, খাউলিয়ার সন্ন্যাসী লঞ্চঘাট, পশুরবুনিয়া, কুমারখালী, ফাশিয়াতলা, সোনাখালী বাজার, ফুলহাতা বাজার, ঘষিয়াখালী, তেলিগাতী, বহরবুনিয়া, শ্রেনীখালি এলাকা, রামপাল ও মংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকর।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বিকালে বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দিনদিন নদীতে পানির চাপ বাড়ছে। ভৈরব, পানগুছি ও বলেশ্বর নদে চার পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু গ্রাম তলিয়ে গেছে। মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠেগেছে। ভাটা হলে আবার এসব এলাকা থেকে পানি নেমে যাবে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।