রমজান মাসে অতি মুনাফার কু-মতলবে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও মজুতদারেরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মত জিনিষ পত্রের দাম বাড়িয়ে মুনাফার নামে ‘লুট তরাজ’ করেছে। রমজানের অজুহাতে ব্যবসার নামে কসাইয়ের মত মানুষদের ‘জবাই’ করা শুরু হয়েছে। দ্রব্য মূল্য নেই নিয়ন্ত্রনে সরকারের যথাযথ ভূমিকা।
ক্ষমতাসীন আর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত রয়েছে, সংবিধান সংস্কার,তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের মত ‘ গুরুত্বপূর্ণ ’ সব বিষয় নিয়ে। খেয়ে থাকা না থাকা হতভাগা মানুষগুলোর জন্য কেউ ভাবার সুযোগ পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে, “অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই” এমন দাবি নিয়ে কেউ মাঠে নামছে না। এর ফলে দক্ষিনাঞ্চলের সাধারন মানুষেরা দারিদ্রতার নিষ্পেষনের পাশাপাশি চরম হতাশার মাঝে দিন কাটাচ্ছে। তাদের অসহায়ত্বের কথা জানারও যেন কেউ নেই। অনেক হত দরিদ্রের ঘরে চলছে বোবা কান্না।
দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাটের বেশ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১০ দিনের তুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে ১০/১২ টি নিত্য পন্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। রমজান মাসে অধিক মুনাফার অশুভ মতলবে এক শ্রেণীর অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায়, এ আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
কারনে-অকারনে পন্য মূল্য বাড়লেও, বাজার নিয়ন্ত্রনে কারও মাথা ব্যথা নেই। এক শ্রেনীর ধান্দাবাজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে গোটা জনগোষ্ঠি যেন জিম্মি হয়ে পড়েছে ।
গতকাল থেকে বাগেরহাটের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ভেদে মোটা চাল প্রতি কেজি ৩৪-৩৬ টাকা, বালাম ৩৮-৪২ টাকা, মিনিকেট প্রকার ভেদে ৪৮-৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আটা ২৮-৩২ টাকা, ময়দা ৩২-৩৪ টাকা, আলু ১৪-১৬ টাকা, দেশী পিয়াজ ৪২-৪৬ টাকা, টাকা, রসুন ১০০-১০৫ টাকা, জিরা ৪২০-৪৩০ টাকা, আদা-১২০-১৪০ টাকা, দেশী মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮৫-৯০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১০৫-১১৫ টাকা, পাম অয়েল ৯০-১০৫ টাকা, সয়াবিন সুপার ৯৫-১০০ টাকা, দেশী চিনি ৬০-৬৫ টাকা, ভারতীয় চিনি ৫৮-৬২ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ফার্মের মুরগির দাম সহনশীল পর্যায় থাকলেও, বেড়েছে দেশী জাতের মোরগ-মুরগি কেজি প্রতি ২২০-২৫০ টাকা, গরুর মাংস ২৬০-২৭৫ টাকা, খাসি ৩৬০-৪০০ টাকা, মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩৪-৩৬ টাকা, পাইকারি প্রতি শ’ ৮০০-৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হেচ্ছে।
মাছের বাজারে চলছে চরম আকাল। তেমন কোন মাছ বর্ত্তমান বাজারে প্রায় দুষ্প্রাপ্য। এক কেজি সাইজের ইলিশ বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৬০০ টাকা দরে। সামুদ্রিক মাছ প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ৪০০-৫৫০ টাকা, পাংগাস মাছ ১২০-১৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ২৩০-২৬০ টাকা।
এছাড়া বৃষ্টির কারণে বেশ চড়া পাইকারি বাজারে তরকারি সহ অন্যান্য কাঁচা পন্যের দাম। আর বাজার ভেদে ক্রতোদের এমব পন্য কিনতে গুনতে হচ্ছে ২/৩ গুন বেশী দাম।